ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ধনবাড়ীতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা, ছিনতাইয়ের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মধুপুর-ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১২:২০, ১৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ১২:২০, ১৪ জুন ২০২৫

ধনবাড়ীতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা, ছিনতাইয়ের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের বাজিতপুর পাগলাবাড়ি (জোসনার মোড়) এলাকায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা এবং টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী, শ্বশুরসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী বানেছা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের সময় ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার পরও তার স্বামী মিল্টন নিয়মিত আরও এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর ও নির্যাতন চালাতেন। ভরণপোষণের অভাবে তিনি ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি নিতে বাধ্য হন। কিন্তু তার স্বামী জোরপূর্বক তার বেতনের টাকাও নিয়ে জুয়া খেলতেন। এতে বাধা দিলে তাকে নানাভাবে নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দেওয়া হতো।

গত ১১ জুন (বুধবার) সকালে বানেছা ও তার ভাই ইট কেনার জন্য ইটভাটায় যান। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় একটি স্থানে স্বামী মিল্টন, শ্বশুর আবদুল মালেক, চাচা শাহীন এবং আরও তিন-চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তি অটোরিকশার গতিরোধ করে তাদের ওপর হামলা চালায়। বানেছাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তলপেটে আঘাত করা হয় এবং তার ভাই অন্তরসহ অন্যদেরও মারধর করা হয়। তারা বানেছার কাছে থাকা এক লাখ টাকাও ছিনিয়ে নেয়।

ঘটনার পর বানেছা ধনবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আহত বানেছার বাবা বাবু ভূঁইয়া জানান, “বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে জামাই ও তার পরিবার আমার মেয়েকে মারধর করে আসছিল। আজ রাস্তায় নেমে তার ওপর নির্মম হামলা করেছে। আমরা গরিব মানুষ, সঠিক বিচার চাই।”

ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী মিল্টন পলাতক। তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে শ্বশুর আব্দুল মালেক বলেন, “ছেলের বউ চাকরি করে বেতনের টাকা না দেওয়ায় একটু ঝামেলা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।”

এ বিষয়ে স্থানীয়রা— তারেক, সুরুজ্জামান, কদ্দুস আলী, ফারুক হোসেন ও লিটন মিয়া— ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।

ধনবাড়ী থানার ওসি এস এম শহিদুল্লাহ বলেন, “ভুক্তভোগী নারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নুসরাত

×