
ঈদুল আযহার টানা ছুটিতে মিনি কক্সবাজার হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রামের জনপ্রিয় আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের পদচারণায় ভরপুর। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় এখানকার হোটেল, বিনোদন পার্ক ও রিসোর্টগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। এতে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। ঈদের পরদিন রবিবার থেকে হাজারো পর্যটক দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন সৈকতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য।
সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটন স্পটগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। পর্যটকদের উল্লাসে মুখরিত রয়েছে দর্শনীয় স্থানগুলো। কেউ সমুদ্রের ঢেউ অবলোকন আবার কেউ সমুদ্রের লোনা পানিতে গা ভাসিয়ে গোসল করছে। কেউ ঘোড়া দৌড়াচ্ছে, কেউ ঘুরে ঘুরে সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করছে, অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে মেতেছে ফুটবলে, আবার কেউ ব্যস্ত সেলফিতে। সমস্ত পারকি বিচজুড়ে এই সমস্ত দৃশ্যই চোখে পড়ে।
বীচের ব্যবসায়ীরা জানান, রবিবার থেকে আশানুরুপভাবে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় বর্তমানে স্বস্তিতে আছি।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক মেহেদী হাসান জানান, আমি প্রথমবার এসেছি পারকি সমুদ্র সৈকতে। এখানে এসে সত্যিই আমি মুগ্ধ। সমুদ্রের নীল জলরাশি, সূর্যের আলোয় চিকচিক করা বালু আর চারপাশের শান্ত পরিবেশ মনকে ছুঁয়ে যায়। এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন প্রকৃতির খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।
রিয়াজ উদ্দিন জিকু নামের আরেক পর্যটক জানান, পারকি সৈকত আমাদের দেশের এক অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন স্থান। আমি প্রতিবছর বন্ধুদের সঙ্গে এখানে বেড়াতে আসি। এখানকার সূর্যাস্ত অসাধারণ। তাছাড়া এখান থেকে কর্ণফুলী নদী আর বঙ্গোপসাগরের মিলন দৃশ্য দেখা যায়, যেটা সত্যিই বিরল। সরকার যদি আরও কিছু উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এই স্থান আন্তর্জাতিক পর্যটকদেরও আকর্ষণ করতে পারবে।
সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বেলায়েত হোসেন বলেন, সৈকতে সার্বক্ষণিক আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন করা হয়েছে। সৈকতে যাতে মোটরসাইকেল প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাজু