ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রিকশাওয়ালা বাবার মুখে হাসি ফুটাতে পারলোনা মেয়ে, বিমান বিধ্বস্তে সব স্বপ্ন ভেঙে চুড়মার!

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ১৩ জুন ২০২৫; আপডেট: ২০:৫৯, ১৩ জুন ২০২৫

রিকশাওয়ালা বাবার মুখে হাসি ফুটাতে পারলোনা মেয়ে,  বিমান বিধ্বস্তে সব স্বপ্ন ভেঙে চুড়মার!

রিকশাচালক বাবার ঘামে ভেজা টাকায় মেয়ের উচ্চশিক্ষা, তারপর প্রথম চাকরি, আর সেই চাকরির সুবাদে প্রথমবার বিদেশ যাওয়ার উচ্ছ্বাস—সব শেষ হয়ে গেল এক মুহূর্তেই।

গুজরাটের হিম্মতনগরের মেধাবী তরুণী পায়েল খটিক, যিনি সম্প্রতি একটি নামকরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছিলেন, সংস্থার পাঠানো ট্রেনিংয়ে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন লন্ডনে। জীবনে প্রথমবার বিমানে চড়া, প্রথমবার বিদেশ সফর—সবকিছু নিয়ে তিনি ছিলেন দারুণ রোমাঞ্চিত। কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে সেই প্রথম বিমানযাত্রাই হয়ে গেল তাঁর শেষ যাত্রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পায়েল খটিকের বাবা সুরেশভাই খটিক একজন রিকশাচালক। অভাব–অনটনের মধ্যেই মেয়ের লেখাপড়ার পেছনে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। শুধু নিজের ঘামেই মেয়েকে মানুষ করেছেন। পায়েলও বাবার স্বপ্নকে মর্যাদা দিয়ে ছিলেন একদম মেধা আর পরিশ্রমে। একসময় সফলভাবে লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পান তিনি।

পরিবার জানায়, লন্ডনে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ার পর থেকে পায়েল ছিলেন প্রচণ্ড আনন্দিত। এই প্রথম বিমানে উঠবেন, প্রথমবার দেশের বাইরে যাবেন—এমন অনেক স্বপ্ন তাঁর চোখে ছিল।

গত বৃহস্পতিবার সকালে বাবা সুরেশভাই নিজ হাতে মেয়েকে পৌঁছে দেন বিমানবন্দরে। চোখে তখন মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা না যেতেই খবর আসে, পায়েল যে বিমানে উঠেছিলেন সেটি ভেঙে পড়েছে। সেই দুঃসংবাদ পৌঁছাতেই আহাজারিতে ভেঙে পড়ে খটিক পরিবার।

একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে শোকে পাথর সুরেশভাই। তাঁর চোখে এখন শুধু একটাই ছবি—লন্ডনের বদলে আকাশেই মিলিয়ে যাওয়া মেয়ের অপূর্ণ স্বপ্ন।

মিমিয়া

×