ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শরীয়তপুরে ভেদরগঞ্জে ছাত্রদলের গ্রুপ সংঘর্ষ: চিকিৎসাধীন থাকা মাদ্রাসা ছাত্র মারা গেলেন

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর

প্রকাশিত: ২০:৫০, ১৩ জুন ২০২৫; আপডেট: ২০:৫১, ১৩ জুন ২০২৫

শরীয়তপুরে ভেদরগঞ্জে ছাত্রদলের গ্রুপ সংঘর্ষ: চিকিৎসাধীন থাকা মাদ্রাসা ছাত্র মারা গেলেন

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত মাদ্রাসার ছাত্র ফারদিন আহমেদ ইয়াসিন (১৪) ঢাকার কাকরাইলের অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের সময় মারা গেছেন। ফারদিন আহমেদ ইয়াসিনের পিতা হানিফ মৃধা তার ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ফারদিন আহমেদ ইয়াসিন ভেদরগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হানিফ মৃধার ছেলে। সে স্থানীয় গৈড্যা এমএস ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ছাত্রদলের দু’টি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় সংঘর্ষে লাঠিসোঁটা, রড এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা, সায়েম, আসাদসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় ছাত্রদলের একটি গ্রুপ রাশেদ ছৈয়ালের নেতৃত্বে ফারদিন আহমেদ ইয়াসিনকে বেধম মারপিট করে। এছাড়াও সংঘর্ষে ভেদরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক হাকিম, কনস্টেবল জাহিদ, ছাত্রদল নেতা পন্নী কাজি, এনাম, সোহান, লিখন বেপারী, মবিন ও ইয়াসিনসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ফারদিন ইয়াসিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।

ইয়াসিনের কাকা সিদ্দিক মৃধা বলেন, ফারদিন আহমেদ ইয়াসিন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। সে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। যারা পরিকল্পিতভাবে ইয়াসিনকে হত্যা করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই। এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. পারভেজ আহম্মেদ সেলিম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

রাজু

×