ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পশুর হাটকে ঘিরে তৎপর অপরাধীরা, সক্রিয় হচ্ছে অজ্ঞান পার্টি

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ২৯ মে ২০২৫

পশুর হাটকে ঘিরে তৎপর অপরাধীরা, সক্রিয় হচ্ছে অজ্ঞান পার্টি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে কোরবানির পশুর হাটকে ঘিরে এ বছরও ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বাড়ছে। এর সঙ্গে জাল নোট কারবারিরাও চাঙ্গা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোরবানির পশুর হাটকে টার্গেট করে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এ সময় হাটে বাড়ে জাল টাকার ছড়াছড়ি। প্রতিবারই এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকে।

আজ (২৯ মে) বৃহস্পতিবার সকালে কেরানীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি হাটের ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আমাদের পশুর হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়া হাটে আমাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে। যে বিক্রেতারা পশু নিয়ে হাটে আসবেন, তাদের থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন, সে জন্য বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে হাটে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কেরানীগঞ্জের প্রতিটি পশুর হাটে আমাদের বাড়তি নজর রয়েছে। পশুবাহী ট্রাককে কেন্দ্র করে কেউ যাতে চাঁদাবাজি করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এবার যারাই চাঁদাবাজি করবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকি পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধেও যদি চাঁদাবাজির অভিযোগ আসে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাটে পশু বিক্রি করে ঘরে ফেরা পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি প্রতিরোধে যাত্রীবাহী বাসে অভিযান শুরু হয়েছে। যানবাহনে চলাচলের ক্ষেত্রে যাত্রীদের সচেতন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির সদস্যদের ধরতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন, কেরানীগঞ্জের প্রতিটি পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে। হাটে আসা ব্যবসায়ীদের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছিনতাই এবং যত্রতত্র চাঁদাবাজি প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এছাড়া হাটগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে সেনাবাহিনী।

×