ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পারিবারিক কলহের জেরে ৫ সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগ!

সোহাইল আহ‌মেদ, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ২৫ মে ২০২৫

পারিবারিক কলহের জেরে ৫ সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগ!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়  রাহেলা বেগম (৪৫) নামে ৫ সন্তানের এক জননীকে পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমি থেকে শনিবার রাতে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের চোখে মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া গ্রামের ওয়াজেদ মিয়ার স্ত্রী রাহেলার মৃত্যু নিয়ে এলাকায়  নানা গুঞ্জন চলছে।

বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, 'এ ঘটনার পর রাহেলার স্বামী ও শাশুড়িকে থানায় এনে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।'

পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, ৫ সন্তানের জননী রাহেলা বেগমের বাবার বাড়ি নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামে। ২৫ বছরেরও বেশি সময় আগে বাঞ্ছারামপুরের সলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া গ্রামের ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে রাহেলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর রাহেলা ৪ মেয়ে ও ১ পুত্রের জন্ম দেয়।

এলাকাবাসি জানান, নিহত রাহেলার ছেলে ইউসুফ মিয়া ২/৩ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করার পর থেকে এই প্রেমের বিয়ে নিয়েই মূলত সংসারে কলহ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বাবা ওযাজেদ মিয়া ছেলে ও ছেলের বউকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর একমাত্র ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া নিয়ে স্বামী স্ত্রী রাহেলা ও ওয়াজেদের মধ্যে চরম কলহ বাঁধে। এর জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

এ বিষয়ে নিহত রাহেলার ছোটভাই সিএনজিচালক দানেছ মিয়া বলেন,'আমার ভাগ্নে প্রেম করে বিয়ে করার পর থেকেই সংসারে কলহ শুরু হয়। এরপর ভাগ্নেকে বাড়ি থেকে দুলাভাই (ওয়াজেদ) বের করে দেয়ার পর দুলাভাই প্রায়ই আপাকে (রাহেলা) মারধর করতো। আমরা নিশ্চিত, দুলাভাই নিজেই আমার আপাকে মেরে জমিতে লাশ ফেলে রেখে আসে। আপার মুখ ও চোখে মারধরের চিহ্ন রয়েছে।'

নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক বলেন, 'ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে এসেছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

সজিব

×