ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কোরবানির ঈদকে ঘিরে ময়মনসিংহে প্রস্তুত দুই লাখ ৫০ হাজার পশু

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ২৫ মে ২০২৫; আপডেট: ১৯:৩০, ২৫ মে ২০২৫

কোরবানির ঈদকে ঘিরে ময়মনসিংহে প্রস্তুত দুই লাখ ৫০ হাজার পশু

ময়মনসিংহে কোরবানির উপযোগী হয়ে উঠেছে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার গবাদি পশু। এর বিপরীতে এ জেলায় চাহিদা রয়েছে প্রায় দুই লাখ পশুর।

ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ইউনিয়ন এলাকায় শেষ মুহূর্তে চলছে পশু পরিচর্যার কাজ। ব্যক্তি ও খামারি পর্যায়ে গরু মোটা তাজাকরণে ব্যস্ত সবাই। তবে ভারত থেকে অবৈধ পথে যেন গরু প্রবেশ করতে না পারে এমনটাই দাবি এগ্রো ফার্মের মালিক আজহারের। 

এদিকে অনলাইনে ময়মনসিংহে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। অন্যান্য বছরের মত এবারও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি বলেছেন খামারিরা। সেইসঙ্গে পশুর দামের পাশাপাশি সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিতের কথা বলেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

ময়মনসিংহের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজারেরও বেশি। কোরবানি উপযোগী গবাদিপশু রয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার ৯৮৮টি। এর মধ্যে গরু, ছাগল, ভেড়া এবং মহিষ রয়েছে। সেই হিসাবে উদ্বৃত্ত পশু রয়েছে ৫৮ হাজার ৯৯টি। 

ময়মনসিংহের ১৩টি উপজেলায় মোট খামারি রয়েছেন ২৪ হাজার ৬৩৫ জন। গত বছর পশু কোরবানি হয়েছিল এক লাখ ৯০ হাজারের মত। তবে জানা যায়, ১৫২টি কোরবানির পশুর হাট বসবে। বড় হাটগুলোতে ৫২টি মেডিকেল দল কাজ করবে। এ ছাড়া ভারতীয় গরু যাতে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে এ নিয়ে সচেতন রয়েছে প্রশাসন।

গরু খামারী সুমন বলেন, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে খামারে খামারে ঘোরার পাশাপাশি অনলাইনেও গরু দেখছেন তিনি। এবার খামারিরা মাঝারি ও ছোট-বড় আকারের গরু সবচেয়ে বেশি লালন-পালন করেছেন। মোটামুটি ভালো। দামও ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ওয়াহেদুল আলম জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিটি খামার পরিদর্শন করে খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, কোরবানির চাহিদা পূরণ হয়েও ৬০ হাজারের বেশি পশু অতিরিক্ত থাকবে।

মুমু

×