
ফরিদপুরে গত ১২ মে গভীর রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও গত ১৩ মে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কতৃক দাফনকৃত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির পরিচয় এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ। ওই ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ২২ থেকে ২৭ বছর বলে ধারনা করছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ একাধিক মাধ্যমে লাশের পরিচয় সনাক্তে প্রচারণা চালিয়ে ও নানাভাবে চেষ্টা করেও তাঁর পরিচয় খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।
আজ শনিবার ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির পরিচয় না পেয়ে এবিষয়ে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে লাশটি দাফন করা হয়েছে।' এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় গত ১৩ মে একটি মামলা (মামলা নং ২৮) দায়ের করা হয়েছে।'
এ বিষয়ে মামলার বিষয়টির নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, মামলাটির তদন্ত দায়িত্বে আছেন করিমপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রইচ উদ্দিন।
এ বিষয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রইচ উদ্দিন জানায়, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটি গত ১২ মে আনুমানিক রাত ২টার দিকে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালি থানাধীন রয়েল ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর অজ্ঞাতনামা যানবাহন কর্তৃক সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মাইকিং ও স্ব-শরীরে বিভিন্ন স্থানে লাশের ছবি নিয়ে ঘুরে লাশের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করেও ওই মৃত ব্যক্তির নাম-ঠিকানা অদ্যবধি পাওয়া যায়নি। এমনকি বায়োমেট্রিক ছাপ নিয়েও তাঁর কোনো প্রকার আইডি সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান এসআই রইচ।
তিনি আরো বলেন, এখনও লাশের পরিচয় সনাক্তে কাজ করে যাচ্ছি, চেষ্টা করছি মৃত ব্যক্তির পরিবারকে অন্তত বিষয়টি জানাতে যে, তিনি আর বেঁচে নেই।'
বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় ও জনস্বার্থে গুরুত্বারোপ করে সংবাদ প্রকাশের জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে রইচ উদ্দিন আরও বলেন, 'আপনাদের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের কাছে যদি লাশের ছবিটি পৌঁছে যায়, তবে তাঁরা নিশ্চয়ই করিমপুর হাইওয়ে থানা বা ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় এসে যোগাযোগ করবেন।'
রাজু