
ছবিঃ সংগৃহীত
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আলোচিত শহিদ কন্যার ধর্ষণে সরাসরি অংশ নেয় তিন কিশোর। একই সঙ্গে তারা ভুক্তভোগীর বিবস্ত্র ছবিও তুলেন। আদালতে জমা দেওয়া পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন এ সব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঢাকার ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো আলামতে তিনজনের ডিএনএ পাওয়া গেছে। এতে আসামি সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীর ডিএনএ প্রোফাইল শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া আসামিদের জবানবন্দি ও পুলিশের তদন্তে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, তৃতীয় ডিএনএ নমুনাটি আরেক আসামি ইমরান মুন্সীর বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এ তিন কিশোর সরাসরি ধর্ষণে অংশ নিয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফি তৈরির প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। আসামি সিফাত নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে ভুক্তভোগীর বিবস্ত্র ছবি ধারণ করে।
ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহপাঠী ইমরান ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীকে ফুসলিয়ে বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে জোর করে ধর্ষণ করে। বাড়ি যাওয়ার পথে চিৎকারের শব্দ শুনেতে পেয়ে সেখানে হাজির হন সাকিব ও সিফাত। বিষয়টি সবাইকে বলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তারাও ইমরানের সহযোগীতায় পালাক্রমে ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে
তদন্ত শেষে তিন কিশোরকেই নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০২০) এর ৯ (৩) ধারা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮ (০১) ও (০৭) ধারায় অভিযুক্ত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো.জাকির হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে বাবা জুলাই শহিদ জসীম উদ্দিনের কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি একই ইউনিয়নের আলগী গ্রামে ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন লামিয়া। পরে গত ২৬ এপ্রিল রাত ৯ টায় ঢাকার শেখেরটেক ৬ নম্বর রোডের বি/৭০ নম্বর বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিনি।
মারিয়া