
ছবি: জনকণ্ঠ
লালমনিরহাটে সুপারি বাগান করে কৃষকেরা লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে প্রতি বছর। সুপারি বাগানে কম খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়। বিজ্ঞান সম্মত ভাবে চাষ করতে পারলেই সুপারি বাগান থেকে ভালোই লাভ পাওয়া যায়। সাথী ফসল হিসেবে সুপারি বাগানে পান, আদা, কচু, কলা, হলুদ, সবজি, লেবু, লটকন ও আনারস চাষ করা যেতে পারে। এ জেলার জন্য সুপারির ভালো জাত বেচে নিতে হবে। পানি দাঁড়ায় না এমন উঁচু জমি সুপারি চাষের জন্য আদর্শ। যেকোনও মাটিতে সুপারি চাষ সম্ভব। তবে বেশি ফলন পেতে বেলে-দোঁয়াশ ও পলি মাটি আদর্শ। ভালো জাতের একটি গাছ থেকে বছরে অনায়াসে ৩ হতে ৫ পোন সুপারি পাওয়া যায়।
নার্সারি থেকে চারা কিনে এনে লাগানো যেতে পারে। আবার কৃষক নিজেরাও চারা তৈরি করে নিতে পারেন।
আদিতমারীর মহিষখোচার সুপারি বাগানের মালিক মামুন বলেন, আমার বাবা সুপারি বাগান করছে আমি ছোট থাকতে তখন থেকে গাছ গুলো থেকে প্রতি বছর সুপারি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা পাচ্ছি। এতে আমি আত্মিকভাবে লাভবান হচ্ছি।
লালমনিরহাটের কৃষক মতিন বলেন, এক সময় লালমনিরহাট জেলার কৃষকেরা নিজেদের প্রয়োজনে বাড়ির আশপাশের অল্প কিছু সুপারি গাছ লাগাতেন। এখন লালমনিরহাটে পাকা লাল রঙের সুপারি চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। এর পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে সুপারি বাগানে পান চাষ করছি। এতে বাড়তি অর্থ আয় হচ্ছে।
ভাটিবাড়ী গ্রামের আনন্দ জানান, বসতবাড়ির আশপাশে আমার কয়েকটি সুপারি গাছ রয়েছে। এ গাছে সাথী ফসল হিসেবে সুপারি ও পান চাষ করছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব জানিয়েছেন, লালমনিরহাটের মাটি এবং আবহাওয়া সুপারি ও পান চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ কারণে এখানকার সুপারি ও পান আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু হয়।
সাব্বির