ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লালপুরে বিদেশি আঙুর চাষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালপুর, নাটোর

প্রকাশিত: ২১:০৩, ২১ মে ২০২৫

লালপুরে বিদেশি আঙুর চাষ

লালপুরে নাগশোষা গ্রামে নিজের আঙুর বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত মিন্টু

নাটোরের লালপুরে প্রথমবারের মতো মিন্টু নামে এক চাষির বাড়ির আঙিনায় পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছে বিদেশি জাতের আঙুর ফল। ইতোমধ্যে বাগানের আঙুর গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে সুমিষ্ট আঙুর ফল। এ ফল চাষকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ দেখতে আসছে আঙুর ফলের বাগান। লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের নাগশোষা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মিন্টুর বাড়ির আঙিনায় এই আঙুরের বাগান গড়ে তুলেছেন তিনি। 
এ আঙুর চাষে তেমন কোনো বিষ বা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। শুধু মাটিতে জৈব সার ও পানি লাগে। খুব অল্প খরচ ও পরিচর্যায় আঙুর চাষ করা যায়। গাছ রোপণের পর দীর্ঘদিন ফলন পাওয়া যায়। একটি গাছে বছরে ৩ বার আঙুর ফল ধরে। মিন্টু জানান, পেশায় রাজমিস্ত্রি হলেও ইউটিউবে ভিডিও দেখে আঙুর চাষে উদ্বুদ্ধ হন। পরে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে কুড়িগ্রাম ও নিলফামারীসহ কয়েকটি জেলা থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে আঙুর গাছের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেন।

দীর্ঘ ১১ মাস পরিচর্যার পর প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ধরেছে আঙুর ফল। বিদেশি জাতের এই আঙুর বাগান দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। মিন্টু বলেন, প্রথমবার ফলন দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। প্রতিদিনই আঙুর দেখতে ছুটে আসেন অনেক মানুষ। খেয়েও প্রশংসা করেছেন তারা। যে কারণে আমি এই প্রথম পরীক্ষামূলক চাষে সফল হয়ে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষের চিন্তা করছি। তিনি বলেন, সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা পেলে এ উপজেলায় আঙুর চাষের বিস্তার ঘটানোর পাশাপাশি জনগণের পুষ্টি ও এফলের চাহিদা মিটানো সম্ভব।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার প্রীতম কুমার হোড় বলেন, তরুণ উদ্যোক্তা মিন্টু পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশি জাতের আঙুর চাষ করছেন, আশানুরূপ উৎপাদন হলে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষের ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ সব সময় তাকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত নির্দেশনা এবং পরামর্শ প্রদান করবে।

×