
অভয়নগরে ভাঙাগেট-সিদ্ধিপাশা আমতলা আরএইচডি সড়কের কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ
অভয়নগরে ভাঙাগেট-সিদ্ধিপাশা আমতলা আরএইচডি সড়কের কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। বন্ধ হয়েছে ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল। উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় কর্তৃক (এলজিইডি) মাটি ফেলে নির্মাণ করা হয়েছে বিকল্প সড়ক। তবে কাদামাটির ঝুঁকিপূর্ণ বিকল্প সড়কে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। সংস্কার নয়, নতুন কালভার্ট নির্মাণের দাবি করেছেন এলাকাবাসী। তবে, দুই ভেন্টের নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে বলে জানান যশোর জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে নওয়াপাড়া ভাঙাগেট থেকে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের আমতলা গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়। ওই সড়কের বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৎকালীন সময় একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি কালভার্টটি ধসে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘদিনের পুরাতন কালভার্টের দুই পাশের রেলিং বাদে সম্পূর্ণ অংশ ধসে পড়েছে। ধসে যাওয়া কালভার্টের এক পাশে কলাগাছ রেখে সতর্ক করা হয়েছে। পাশে বিকল্প সড়কে কাদামাটিতে আটকে থাকা একটি কাভার্ডভ্যান বিকল হয়ে পড়ে আছে।
এলাকাবাসীরা জানায়, কালভার্ট ধসে অভয়নগরের তিন ইউনিয়নের হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঢাকা ও নড়াইলে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। এলজিইডি কর্তৃক বিকল্প সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ। সংস্কার নয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন কালভার্ট নির্মাণের দাবি করেন তারা।
ইজিবাইক চালক রহমত উল্লাহ বলেন, ‘দুই দিন আগে ঢাকা থেকে একটি পাটবোঝাই ট্রাক নওয়াপাড়ায় যাওয়ার সময় কালভার্টের ক্ষতি করে। ওইদিন রাতে বৃষ্টির পর চলাচলের অংশ সম্পূর্ণ ধসে যায়।’
ঢাকাগামী নড়াইল এক্সপ্রেস নওয়াপাড়া কাউন্টারের মালিক তারেক হোসেন বলেন, ‘কালভার্ট ধসের কারণে ওই পথে ঢাকায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কাদামাটির কারণে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্য পথে ঢাকায় যেতে জ্বালানি খরচ বেশি হচ্ছে, সময়ও বেশি লাগছে। যে কারণে ধীরে ধীরে যাত্রী কমতে শুরু করেছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলী কল্যাণ মজুমদার বলেন, ‘ধসে যাওয়া কালভার্ট নতুন করে নির্মাণের জন্য জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর ৫০ লাখ ১৩ হাজার ৯৪ টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বক্স আকারে দুই ভেন্টে কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু করা হবে। সম্প্রতি ধসে যাওয়া কালভার্টের পাশে মাটি ফেলে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। চলাচল উপযোগী করতে দ্রুত কার্পেটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।’
এ ব্যাপারে যশোর জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অভয়নগরে ধসে যাওয়া কালভার্ট নতুন করে নির্মাণের জন্য ঢাকায় বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
বরাদ্দ অনুমোদন হলে ৭/৮ দিনের মধ্যে টেন্ডার দিতে পারব। ওখানে দুই ভেন্টের নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।’