
ছবি: জনকণ্ঠ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণাদিয়া গ্রামে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী বুড়ি মায়ের (বনদুর্গা) গাছতলার মেলা।
বুধবার (২১ মে) বিকেলে জলকেলি ও মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে দেবী বুড়ি মায়ের পূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় বলে জানান স্থানীয়রা। তবে কেউ সঠিকভাবে বলতে পারেননি এই মেলার বয়স কতো বছর। কারও মতে এর বয়স ১০০ বছর, আবার কেউ বলেন ১৫০ বছর।
এ বছর মেলায় ঘুরে দেখা যায়। বসেছে হরেক রকমের মিষ্টির দোকান, ঝালমুড়ি, শরবত, আচার, পান, চটপটি-ফুসকা, ফলের দোকানসহ নানান ধরনের খাবারের দোকান। এছাড়াও ছিল কাঠ, লোহা, বেত, বাঁশ ও মাটির তৈরি আসবাপত্রের দোকান এবং ছোটদের জন্য রঙ-বেরঙের খেলনার পসরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বিপ্লব কুমার শীল বলেন, “ছোটবেলায় কৃষ্ণাদিয়ার এই মেলা ছিল আমাদের আবেগ-অনুভূতির উৎস। আগের রাত থেকেই উত্তেজনায় ঘুম আসতো না, কবে সকাল হবে, কবে মেলায় যাব, বাদাম আর জিলাপি খাবো! এখনো প্রজন্ম ধরে ধরে আকর্ষণটা আছে, তবে নতুন প্রজন্মের আগ্রহ কিছুটা কমে যাচ্ছে বলে আমার ধারণা।”
তিনি আরও বলেন, “এই মেলার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এখানে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ বজায় থাকে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে একসঙ্গে মিলেমিশে আনন্দে অংশ নেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ মানত করতে আসেন বুড়ি মায়ের দরবারে।”
কৃষ্ণাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীল রতন শীল বলেন, “মেলা মানেই মিলন। মানুষের সঙ্গে মানুষের, ভাবের, সংস্কৃতির মিলন এবং আদান-প্রদান। প্রতিটি মেলাই কোনও না কোনও ধর্মীয় বা সামাজিক উৎসবকে কেন্দ্র করেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।”
শহীদ