
ছবি: জনকন্ঠ
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জের সঙ্গে সিলেট শহরের অন্যতম সংযোগ সড়ক ‘শেওলা-জকিগঞ্জ রোড’-এর বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজারো মানুষ। দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন থাকা ২২ কিলোমিটার এই সড়ক বর্তমানে যান চলাচলের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও সাধারণ যাত্রীরা।
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরের জকিগঞ্জ উপজেলায় যাতায়াতের সবচেয়ে সহজ পথ হিসেবে পরিচিত এই সড়কটি। জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তাটি মোটামুটি চলনসই হলেও জিরো পয়েন্ট থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত অংশে খানাখন্দে ভরা এ রাস্তায় যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অব্যবস্থাপনার কারণে সড়কের সর্বত্রই সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। বর্ষা মৌসুমে এসব গর্তে পানি জমে থাকে, আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ হন যাত্রীরা। কোথাও কোথাও গর্তে পড়ে যানবাহন আটকে গেলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।
স্থানীয় সিএনজি চালক শাহাব উদ্দিন সাবু জানান, “ভাঙা রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন গাড়ি চালাই। কখনো হঠাৎ স্কেল ভেঙে যায়, কখনো গর্তে আটকে পড়ে বিপাকে পড়ি। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছি।”
জকিগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, “এই রাস্তা ভালো থাকলে সিলেটে পৌঁছাতে আধা ঘণ্টার বেশি লাগতো না। এখন গর্ত আর ধুলার কারণে সময় দ্বিগুণ লেগে যায়, পরীক্ষায়ও দেরি হয়।”
এ সড়কের জরুরি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন ধরেই অনুভব করে আসছেন জকিগঞ্জবাসী। সম্প্রতি মাত্র ৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হলেও স্থানীয়দের মতে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
ভুক্তভোগীরা বলেন, "সড়কটির পুরোটা সংস্কার না হলে দুর্ভোগ কমবে না। যান চলাচলের উপযোগী করতে সম্পূর্ণ ২২ কিলোমিটার রাস্তা পুনর্নির্মাণ করা জরুরি।"
জকিগঞ্জ উপজেলা ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা দ্রুত সড়কটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ও পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি। তাদের মতে, এটি কেবল একটি সড়ক নয়—এটি একটি জনপদের জীবনরেখা। এ রাস্তায় দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সড়কটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার উৎসে পরিণত হতে পারে।
মুমু