
ছবিঃ জনকণ্ঠ
ভারত সরকার হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে ছয় ধরণের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর এবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখলেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২১ মে) সকালের দিকে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৎস্য রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া। তিনি জানান, আমাদের ব্যবসায়ীদের বিল সংক্রান্ত কারণে আজকে আমরা মাছ রপ্তানি বন্ধ রেখেছি। আগামীদিন থেকে পুনরায় মাছ রপ্তানি হবে।
চএদিকে ভারত সরকার হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে ছয় ধরণের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা রপ্তানি বাণিজ্য রক্ষায় দ্রুত কূটনৈতিক সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, সুতা ও সুতার উপজাত, এবং আসবাবপত্র। এর মধ্যে তৈরি পোশাক ও কাঠের আসবাব ব্যতীত বাকি সব পণ্যই নিয়মিতভাবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হতো।
আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৪২৮ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (চলতি) প্রথমার্ধে রপ্তানি হয়েছে ৪৫৩ কোটি টাকার পণ্য। একই সময়ে আমদানি ছিল তুলনামূলক কম, চলতি অর্থবছরে মাত্র ১০৬ টন পণ্য আমদানি হয়েছে।
স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতিদিন ৪০-৫০টি গাড়ি রপ্তানিতে অংশ নিতো। নিষেধাজ্ঞার পর এখন শুধু মাছ, সিমেন্ট ও শুটকি মাছ রপ্তানি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দেশের অন্যতম বৃহৎ এবং শতভাগ রপ্তানিমুখী এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে তা সরবরাহ করা হয় দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। ভারতের হঠাৎ এ সিদ্ধান্তে দুই দেশের পারস্পরিক বাণিজ্য সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচএ