ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গোপালগঞ্জের ক্লিনিক মালিকের প্রতারণার শিকার মাদারীপুরের যুবক, আদালতে মামলা

সুবল বিশ্বাস,নিজস্ব সংবাদদাতা,মাদারীপুর

প্রকাশিত: ২২:২৪, ২০ মে ২০২৫; আপডেট: ২২:৩৫, ২০ মে ২০২৫

গোপালগঞ্জের ক্লিনিক মালিকের প্রতারণার শিকার মাদারীপুরের যুবক, আদালতে মামলা

ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের এক ক্লিনিক মালিকের প্রতারণায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন মাদারীপুরের যুবক। পরে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী। সেই মামলায় কারাগারে আছেন কামাল শেখ (৪৬)।

অভিযুক্ত কামাল শেখ গোপালগঞ্জ সদরের ডিসি রোড কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি এলাকার মধুমতি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও গোপালগঞ্জ সদরের করপাড়া ইউনিয়নের বনগ্রামের ইউনুস শেখের ছেলে। আর প্রতারনার শিকার শুভ মৈত্র মাদারীপুর শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে কর্মরত।

জানা যায়, গোপালগঞ্জ সদরের ডিসি রোড কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি এলাকার মধুমতি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক কামাল শেখ তার ক্লিনিক ব্যবসা পরিচালনার জন্য যুবক শুভ মৈত্রর বাবা নিত্যানন্দ মৈত্রর কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা নেন। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট মাদারীপুর নতুন শহর এলাকায় স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে টাকা লেনদেন হয়। যার ভিডিও ধারণ করে রাখেন শুভ মৈত্র। নিরাপত্তা ও গ্যারান্টি হিসেবে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের একটি ব্ল্যাঙ্ক চেক দেন কামাল শেখ। পরে সেই চেক প্রত্যাখান করে ব্যাংক। এরপর আইনজীবির মাধ্যমে উকিল নোটিশ দেয়া হয় কামালকে।

সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় ২০২৪ সালে ২ অক্টোবর শুভ মৈত্র বাদী হয়ে মাদারীপুর আদালতে এনআই অ্যাক্টে অভিযুক্ত কামালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে সেই মামলায় হাজির না হলে গোপনে জামিন নিতে আসলে গত ১৩ মে আদালতের বিচারক কামালকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর আবারো জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানী শেষে জামিন না মঞ্জুর করেন।

মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী শুভ মৈত্র বলেন, এভাবে লাখ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হবো বুঝতে পারিনি। তাহলে এই টাকা দিতাম না। আমাদের পরিবারের কষ্টের টাকা। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই ও প্রতারক কামাল শেখের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

বাদীপক্ষের আইনজীবি মেঘদূত রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘ব্যবসার কথা বলে ১১ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন কামাল শেখ। যার সাক্ষ্য ও প্রমান রয়েছে। এই ঘটনার ন্যায় বিচারের স্বার্থে ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। আশা করি বাদী ন্যায় বিচার পাবেন।’

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত কামাল শেখের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে এমন প্রতারনার একাধিক মামলা রয়েছে। সেই মামলায়ও তিনি ওয়ারেন্টের আসামি। এই আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় বার বার একই ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য অভিযুক্ত কামাল শেখ জামিন যাতে না পেতে পারে সে ব্যাপারে সরকার ও আদালতের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
 

আলীম

×