
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ল এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম। হতদরিদ্র পরিবারের এই সন্তান নিজের মেধা ও যোগ্যতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পেলেও খরচ নিয়ে পড়েন বিপাকে। তখনই এই শিক্ষার্থীর পাশে এসে দাঁড়ায় আমেরিকার সাহায্য সংস্থা ইকো। প্রতিবছর এই শিক্ষার্থীকে এককালীন মেধাবৃত্তি দিয়ে আসছে সংস্থাটি। তারই ধারাবাহিকতায় মেধাবী এই শিক্ষার্থী পেয়েছেন চলতি বছরের এককালীন নগদ অর্থের চেক।
চেক পেয়ে সাদিয়া বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর আমার পরিবার অথৈ সাগরে পড়ে। ছোট ভাই ও আমাকে মানুষ করতে মা দর্জি কাজ করেন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে উঠে। এমন সময়ে পাশে এসে দাঁড়ায় ইকো। তাদের কাছ থেকে চারবার বৃত্তি পেয়েছি। বছরে ১২ হাজার টাকা করে দিয়েছে সংস্থাটি।
শুধু সাদিয়া ইসলাম নয় যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরার বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সিং ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫ জন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে প্রায় ৭ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান করা হয়। মেডিকেল ও প্রকৌশল বিভাগে ১৫ হাজার, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ও পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা করে।
বুধবার দুপুরে যশোর সদর উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এসব হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে চেক বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক (উপসচিব) মো: রফিকুল হাসান। ইকোর প্রজেক্ট অফিসার আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার ও যশোর চেম্বার অব কর্মাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাজ উদ্দিন টিপু।
সাব্বির