
ছবিঃ সংগৃহীত
বাগেরহাটে “ জ্ঞান-বিজ্ঞানে করব জয়, সেরা হব বিশ্বময়” এই শ্লোগান নিয়ে ২ দিন ব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) সকালে শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আহম্মেদ কামরুল হাসান।
এসময়, বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিয়া ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আহসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তরফদার রবিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দুইদিন ব্যাপি এই মেলায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১০টি স্টল অংশগ্রহন করেছে। মেলায় ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পানির পাম্প, জ্বালানি সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল, ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা, আগ্নেয়গীরির মডেলসহ নিজেদের আবিস্কৃত বিভিন্ন মডেল উপস্থাপন করেন কোমল মতি শিক্ষার্থীরা।
জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, মর্যাদাসম্পন্ন উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আগামী প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে হবে। তাই বিজ্ঞানমনস্ক মানবিক উন্নত জাতি গড়ে তুলতে এই বিজ্ঞান মেলার গুরুত্ব অসীম। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের মূলমন্ত্র তরুণ সমাজকে উপলব্ধি করানোর দায়িত্ব আমাদের সকলের। বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য নবীন এবং শৌখিন বিজ্ঞানীদের উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে সরকার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করে তুলতে বিভিন্ন প্রদর্শনী, বিজ্ঞান মেলা ও সেমিনারের আয়োজনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। এর ফলে সৃজনশীল মেধার বিকাশ, উন্নত চিন্তায় আগামী প্রজন্ম উৎসাহিত হয়। যা স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য।
বিজ্ঞানের অবিস্কারকে জনকল্যাণমুখী কাজে ব্যবহারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা এবং বিজ্ঞান ক্লাবগুলোকে বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদানের বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তীব্র লবনাক্ততার কারনে যে জমিতে একসময় ধান উৎপান হত না, এখন সেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যানে ভাল ফসল ফলছে। তাই কৃষি, সুপেয় পানিসহ দক্ষিণাঞ্চলের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন ও সর্বোত্তম ব্যাহারে জন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান জেলা প্রশাসক।
বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপী বলেন, মেলা মানেই ঘোরা-ফেরা, খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ করা। কিন্তু এ মেলাটা ব্যতিক্রমী। এখানে দেখলাম বাগেরহাটের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, লবণাক্ততা দূরীকরণ, সুপেয় পানি নিশ্চিত, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, রাডার সিস্টেম, স্যাটেলাইট সিস্টেম এছাড়া কীভাবে মানুষ আকাশ তথ্য পেতে পারে. সেগুলো সম্পর্কেও নতুন নতুনা ধারণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। প্রযুক্তির এ নতুন উদ্ভাবন যেন, সভ্যতা উন্নতি ও মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা হয় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিজ্ঞান মেলায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী আফিজা খাতুন ও শুভাশীস কুমার দাস বলেন, আমরা এ মেলায় অংশ নিতে পেরে খুবই আনন্দিত। মেলার মাধ্যমে আমরা নতুন নতুন অনেক বিষয় জানছি।’ তারা প্রতিবছরই এমন মেলার আয়োজনের অনুরোধ করেন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে এই মেলা শেষ হবে।
আলীম