
ছবি: জনকণ্ঠ
সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মুক্তিতে নীলফামারীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে জেলা বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সেখানে ফিরে সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেফাউল জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাহেদুল ইসলাম দোলন, পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক আল মাসুদ চৌধুরী, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাসুদুল আলম দুলাল, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লূৎফুল আলম চৌধুরী শুভ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে মিষ্টি বিতরণ করেন নেতাকর্মীরা। এর আগে দুপুরে ও বিকালে জেলার শহরে জেলা ও উপজেলা যুবদল জেলা শহরে আনন্দ মিছিল বের করে। এছাড়া ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল ও মিস্টি বিতরণ করেন।
দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে (৮ মে) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকির মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন দেয় হাইকোর্ট। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল সকালে কর ফাঁকির মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ-৯ কবির উদ্দিন প্রামাণিকের আদালতে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন তুহিন। পরে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। পাশাপাশি, একইদিন অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ প্রদীপ কুমার রায়ের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। এ মামলাতেও শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেছিল।
জানা যায়, ২০০৭ সালের ১/১১ সময় কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তুহিনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আলাদা দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে আলাদা দুটি ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছরসহ মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। এছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে সাবেক এমপি তুহিন দীর্ঘদিন দেশের বাহিরে ছিলেন। পট পরিবর্তনের পর তিনি গত ২২ এপ্রিল দেশে ফিরে আসেন। গত ২৯ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। সেই থেকে তুহিনের মুক্তির দাবিতে গত ৭ মে পর্যন্ত রংপুর বিভাগীয় শহর,নীলফামারী, ডোমার,ডিমলা,জলঢাকা ও সৈয়দপুর উপজেলায় বিএনপি ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে আসছিল। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম জানান, অচিরেই তুহিন ভাই নীলফামারী আসবেন। তাকে স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুরু করেছি।
রবিউল