ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

হত্যা মামলা উত্তোলনের জন্য বাদিকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ৩ মে ২০২৫

হত্যা মামলা উত্তোলনের জন্য বাদিকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি

ছবি: জনকণ্ঠ

হত্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে বংশে বাতি জ্বালানোর কোন মানুষ থাকবেনা। চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলার আসামিরা বাদিকে এধরনের হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। হত্যার ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে এখনও এহাজারভূক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

আজ শনিবার দুপুরে এ ধরনের অভিযোগ এনে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দিয়ার চর গ্রামের নিহত কৃষকের স্ত্রী আকলিমা আক্তার। 

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ওই গ্রামের কুদ্দুস হাওলাদার অন্যের জমিতে বর্গাচাষ করতেন। চলতি বছর তার বসত বাড়ির পাশের ৫০ শতক জমিতে তরমুজ চাষাবাদ করেছিলেন। 

গত ৩ এপ্রিল দুপুরে ক্ষেত থেকে প্রকাশ্যে মধ্য চরাদী গ্রামের আনোয়ার হোসেন চৌকিদার, সানি চৌকিদার, ফয়সাল চৌকিদার, হিরণ চৌকিদার, মাসুদ চৌকিদার, মিরাজ মোল্লা, সরোয়ার চৌকিদার, মতিউর রহমান মানিক, হারুন চৌকিদারসহ তাদের আরও ৪/৫ জন সহযোগিরা তরমুজ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। 

এসময় তাদের বাঁধা প্রদান করায় সংঘবদ্ধ চোরেরা এলোপাথারিভাবে কুদ্দুস হাওলাদারকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। স্থানীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় আহত কৃষক কুদ্দুসকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরেরদিন ৪ এপ্রিল দিবাগত রাতে কুদ্দুস হাওলাদার মৃত্যুবরণ করেন। 


সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এ ঘটনায় নিহত কৃষক কুদ্দুসের স্ত্রী বাদি হয়ে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার এক মাসের থানা পুলিশ এজাহারভূক্ত একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ বাদির পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করছেন। 

এমনকি মামলা প্রত্যাহার করা না হলে নিহত কুদ্দুসের বংশে প্রদীপ জ্বালানোর মতো কাউকে রাখা হবেনা বলেও আসামি ও তাদের ভাড়াটিয়া লোকজনে হুমকি দিচ্ছেন। ফলে চরম শংঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন বাদি ও তার পরিবারের সদস্যরা। 

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অনতিবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা ও বাদির পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি করা হয়েছে। 

শিহাব

×