ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

মির্জাপুর হাটে শেডভাঙা, পলিথিন টাঙিয়ে বেচাকেনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাটমোহর, পাবনা

প্রকাশিত: ২১:২৯, ২ মে ২০২৫

মির্জাপুর হাটে শেডভাঙা, পলিথিন টাঙিয়ে বেচাকেনা

চাটমোহর, পাবনা : উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মির্জাপুর হাটে পলিথিন টাঙিয়ে চলছে বেচাবিক্রি

চাটমোহর উপজেলার পুরানো ও ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ হাট মির্জাপুর হাট। প্রায় তিন-চার বছর আগে হাটের শেডগুলো ভেঙে পড়লেও আজ পর্যন্ত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে ব্যবসায়ীরা কেউ খোলা আকাশের নিচে আবার কেউ পলিথিনের অস্থায়ী ছাউনির নিচে প্রতিকূল পরিবেশে জীবনের তাগিদে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মির্জাপুর হাট সপ্তাহের দুইদিন (রবিবার ও বৃহস্পতিবার) বসে। এই হাটটি আশেপাশের উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী হাট হওয়ায় হাটটিতে চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, আটঘরিয়া, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, সিংড়াসহ বিভিন্ন উপজেলার হাজারো মানুষ এখানে বেচাকেনা করার জন্য আসেন।

কিন্তু হাটের ভেঙে যাওয়া শেডের দিকে তাকালেই এই হাটটি কতটা মূল্যহীন, ঠিক যেন সতিনের ছেলে কর্তৃপক্ষের কাছে তা বোঝা যায়। দীর্ঘদিন ধরে ছাউনি না থাকায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়পক্ষকেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে থেকে বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী আব্দুস ছালাম ও আমজাদ বলেন, অনেকবার অভিযোগ দিয়েও ভাঙা শেড ভালো হলো না। শেড ভাঙার পর থেকে আমরা অনেক কষ্টে পলিথিন টাঙিয়ে দোকান চালাচ্ছি। বৃষ্টি হলে বেচাকেনা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মালামাল ভিজে নষ্ট হয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দাবি, এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই হাটের অবকাঠামো অবহেলিত থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য। সরকার হারাবে রাজস্ব। তাই দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, মির্জাপুর হাটের শেড সংস্কারের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খুব দ্রুতই সংস্কার কাজ শুরু হবে।

প্যানেল

×