
সারা দেশের মতো সিলেটেও মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধার দাবিতে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে করে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাপ বেড়ে যায় আকাশপথে যাত্রীদের। সেই সঙ্গে বাড়ে টিকিটের দামও। অভিযোগ উঠেছে, ৭ হাজারের বিমানের টিকিট ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ঢাকা বিমানের টিকিটের দাম ২৮ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে সিলেট থেকে ছিল ৭ হাজার ১৯৯ টাকা, সাড়ে ৭টায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের টিকিট ছিল ৭ হাজার ২০০ টাকা এবং বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে নভোএয়ারের সিলেট-ঢাকা একটি ফ্লাইটে টিকিটের দাম ৬ হাজার ৭০০ টাকা ছিল।
কিন্তু রাতেই এই চিত্র বদলে যায়। বিমানের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার (২৯ জানুয়ারি) টিকিটের দাম ১২ হাজার ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে টিকিটের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে সিলেটের জালালাবাদ আবাসিক এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বিমানের টিকিটের দামের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যখন খুশি, তখনই দাম বাড়িয়ে দেয় তারা।
তিনি আরও বলেন, গতকাল বাংলাদেশ বিমানের টিকিট ৫ হাজার থেকে ৬ হাজারের মধ্যে ছিল। ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। ফলে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়ছে।
সিলেটবাসীর সঙ্গে এটা অন্যায় করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় বিমানের সিট খালি থাকে। তারপরেও দাম কমানো হয় না।
একই অভিযোগ করে বেসরকারি এক চাকরিজীবী বলেন, বিমানের টিকিটের কোনো হিসাব নেই। কখনও দাম কমে যায়, আবার কখনও এক লাফে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। এটা তাদের ব্যবসায়িক পলিসিও হতে পারে। তবে কোনো পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ভাড়া বাড়ানো উচিত নয়। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল থেকে শিডিউল মোতাবেক সিলেট থেকে সব ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে।