
ছবি: প্রতীকী
জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় ভুল তথ্য প্রতিরোধে আবারও শুরু হচ্ছে প্রুফ রিডিং কর্মসূচি। নির্বাচন কমিশনের ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগেই তথ্য সংগ্রহ, যাচাই ও প্রাথমিক প্রুফ রিডিং সম্পন্ন হলেও, এবার দ্বিতীয় ধাপে পুনরায় প্রুফ রিডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভোটারদের সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী তথ্য নিশ্চিত করতেই এই কর্মসূচি। কেননা তথ্যভিত্তিক অসামঞ্জস্যতার কারণে NID ও ভোটার তালিকায় একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন—
- নামের বানানে ভুল,
- ঠিকানা বা জন্মতারিখের গরমিল,
- ছবির অমিল,
- ভুল তথ্যযুক্ত পরিচয়পত্র।
এসব সমস্যার প্রতিকার করতেই এবার আরও একধাপ এগিয়ে প্রুফ রিডিং পুনরায় শুরু করছে কমিশন।
প্রশিক্ষিত প্রুফ রিটারদের নতুন করে মাঠে নামানো হচ্ছে
পূর্বে ভোটার তালিকা হালনাগাদের দায়িত্বে থাকা অভিজ্ঞ প্রুফ রিটার ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের মধ্য থেকে নির্বাচিতদের আবার এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হবে। সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন অফিসাররা প্রস্তাবিত তালিকা তৈরি করে আগামী ২০ মে ২০২৫ এর মধ্যে তা নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন।
কীভাবে চলবে প্রুফ রিডিং
- এবারের প্রুফ রিডিং কার্যক্রম চলবে নিচের নীতিমালার আলোকে—
- সরকারি তথ্যভান্ডারের (ডেটাবেইস) সঙ্গে ভোটারদের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে
- গরমিল বা ভুল পাওয়া গেলে সংশোধনের জন্য সুপারিশ করা হবে
- সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে
নাগরিকদের করণীয়
কমিশন বলছে, যারা ১১ এপ্রিল ২০২৪ বা তার আগে ১৮ বছর পূর্ণ করে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন, তাদের উচিত—
- এনআইডি ও ভোটার তথ্য যাচাই করে দেখা
- ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন: জন্ম সনদ, শিক্ষাগত সনদ, ঠিকানা প্রমাণ ইত্যাদি) প্রস্তুত রাখা
সচেতন না হলে ভোগান্তি
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার তালিকা ও এনআইডি কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক দলিল। এতে ভুল থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, চাকরির আবেদন, ব্যাংক লেনদেন বা পাসপোর্ট তৈরিসহ নানা কাজে বিঘ্ন ঘটে। তাই এবার যেন কোনো ভুল না থাকে, সে জন্যই দ্বিতীয়বারের মতো প্রুফ রিডিং চালু হচ্ছে।
রাকিব