ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কেন বিশ্বজুড়ে আলোচনায় চীনের নতুন স্বর্ণভাণ্ডার?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ১ জুন ২০২৫

কেন বিশ্বজুড়ে আলোচনায় চীনের নতুন স্বর্ণভাণ্ডার?

ছবি: সংগৃহীত

চীনের হুনান প্রদেশের পিংজিয়াং কাউন্টির ওয়াংগু সোনার খনির নিচে আবিষ্কৃত হয়েছে একটি ‘সুপারজায়ান্ট’ সোনার আকরিকের মজুদ, যা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ মজুদ হতে পারে বলে মনে করছেন ভূতাত্ত্বিকরা।

চীনা সরকারি গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, ভূবিজ্ঞানীদের একটি দল প্রায় ৬,৬০০ ফুট গভীরে ৪০টিরও বেশি সোনার ভেইন শনাক্ত করে, যেখানে আনুমানিক ৩৩০ টন সোনার আকরিক রয়েছে। তবে থ্রিডি মডেলিং অনুসারে এই পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১,১০০ টনে, যা প্রায় ৯,৮০০ ফুট গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত। যার মূল্যমান প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার

বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘সাউথ ডিপ’ খনিকে ছাড়িয়ে চীনের এই আবিষ্কার বিশ্বের বৃহত্তম সোনার খনি হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে

চীনের হুনান প্রদেশের ভূতাত্ত্বিক ব্যুরোর খনিজ অনুসন্ধান বিশেষজ্ঞ চেন রুলিন জানান, অনেক কোর-ড্রিল নমুনায় খালি চোখেই সোনার অস্তিত্ব দেখা গেছে। যা অত্যন্ত দুর্লভ ও সম্ভাবনাময় একটি আবিষ্কার।

এটি শুধু চীনের জন্যই নয়, পুরো বৈশ্বিক সোনার বাজারের জন্য বড় এক চমক। বর্তমানে বিশ্বের মোট সোনার উৎপাদনের প্রায় ১০ শতাংশ চীনেই ঘটে। তবে চীন নিজে যে পরিমাণ সোনা ব্যবহার করে তা তার উৎপাদনের তিনগুণ। এ কারণে দেশটি বিশ্বে সবচেয়ে বড় সোনা আমদানিকারকও।

এই খনির খবর ছড়িয়ে পড়তেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে প্রতি আউন্সে ২,৭০০ ডলারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে CCN.com। শুধু তাই নয়, খনির আশেপাশের এলাকায়ও নতুন আকরিকের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যুরোর ডেপুটি প্রধান লিউ ইয়ংজুন।

এই আবিষ্কার যদি ভূবিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুসারে কার্যকর হয়, তাহলে এটি শুধু চীনের অর্থনীতিকে নয়, গোটা বৈশ্বিক মূল্যবান ধাতু বাজারকেই প্রভাবিত করতে পারে।

মুমু

×