
ছবি: সংগৃহীত।
চুলের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যে প্রাকৃতিক উপাদানের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডিম, যা দীর্ঘদিন ধরেই ঘরোয়া হেয়ার কেয়ারের বিশ্বস্ত উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চুলে ডিম ব্যবহারের রয়েছে নানা উপকারিতা—বিশেষ করে চুল পড়া রোধ, মসৃণতা বৃদ্ধি ও চুলের গঠন মজবুত করতে ডিম কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিমে রয়েছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, যা চুলের মূল গঠন কেরাটিনকে মজবুত করে। এতে ভিটামিন এ, ই, ডি, বি১২, বায়োটিন ও ফলেট থাকায় চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায় এবং চুলকে করে তোলে আরও স্বাস্থ্যবান ও উজ্জ্বল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম চুলের ড্যামেজ রি-পেয়ার করতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে, আর কুসুমটি চুলে আর্দ্রতা জোগায়। ফলে চুল হয় ঝলমলে ও কোমল।
ডিম ব্যবহারের সহজ পদ্ধতি:
১টি ডিম ফেটে তাতে ১ চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মাথার ত্বক থেকে চুলের আগা পর্যন্ত লাগিয়ে ২০–৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এভাবে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ: যাদের চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর, তাদের জন্য ডিমের হেয়ার প্যাক খুবই কার্যকর। তবে অতিরিক্ত তেলতেলে চুলে ডিম ব্যবহারে কুসুম এড়িয়ে চলা ভালো।
সতর্কতা: ডিম ব্যবহারের পর কুসুমের গন্ধ দূর করতে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা উচিত। গরম পানি ব্যবহার করলে ডিম জমে যেতে পারে, যা চুল থেকে পরিষ্কার করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
চুলের যত্নে প্রাকৃতিক ও সাশ্রয়ী সমাধান হিসেবে ডিম হতে পারে সহজ ও নিরাপদ একটি উপায়। নিয়মিত ব্যবহারে চুলে ফিরে আসতে পারে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও স্বাস্থ্য। তবে সমস্যা জটিল হলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।
মিরাজ খান