ঘরে বসে যে ৫টি ইয়োগা করলেই কমবে ইউরিক এসিড

আপনি যদি উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে আপনি একা নন। এই সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা গেঁটেব্যথা, অস্থিসন্ধির শক্তভাব এবং কিডনির সমস্যার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত জলপানের পাশাপাশি নিয়মিত যোগব্যায়াম ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিকভাবে সহায়ক হতে পারে।

নিয়মিত অভ্যাস করলে নিচের ৫টি যোগাসন ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করতে পারে:

১. অর্ধ মৎস্যেন্দ্রাসন (Half Spinal Twist)
এই মোচড়ানো আসনটি পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলিকে উত্তেজিত করে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। উন্নত হজমশক্তি মানে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড কম জমা হয়। এটি মেরুদণ্ডকে প্রসারিত করে এবং পিঠ ও নিতম্বের কড়াভাব দূর করে। প্রতিটি পাশে ৩০ সেকেন্ড ধরে এই আসনটি করুন এবং গভীরভাবে শ্বাস নিন।

২. পবনমুক্তাসন (Wind-Relieving Pose)
নামের মতোই, এই আসনটি গ্যাস নির্গত করতে এবং হজমতন্ত্রকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এটি যকৃত এবং বৃক্ক (কিডনি)-কে উদ্দীপিত করে—এই দুটি অঙ্গ রক্ত থেকে ইউরিক অ্যাসিড পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সকালে এই আসনটি করলে শরীর স্বাভাবিকভাবে ডিটক্স হতে সাহায্য পায়।

৩. ভূজঙ্গাসন (Cobra Pose)
ভূজঙ্গাসন পিঠকে মজবুত করে, বক্ষভাগ খুলে দেয় এবং রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। এটি কিডনিকে সক্রিয় করে তোলে, যা ইউরিক অ্যাসিডসহ অন্যান্য টক্সিন নিষ্কাশনে সাহায্য করে। মেরুদণ্ড অত্যধিক বাঁকাবেন না—প্রয়োজনে কনুই সামান্য বাঁকিয়ে রাখুন।

৪. সেতু বন্ধাসন (Bridge Pose)
এই আসনটি থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে এবং পিঠ, নিতম্ব ও উরু প্রসারিত করে। এটি রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি তন্ত্রকে সহায়তা করে, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। ৫–১০ বার শ্বাস গ্রহণের সময় এই আসনটি ধরে রাখুন।

৫. ত্রিকোণাসন (Triangle Pose)
ত্রিকোণাসন পা, নিতম্ব এবং দেহের পাশ প্রসারিত করে এবং হজম ও বিপাকক্রিয়া উন্নত করে। একটি স্বাস্থ্যকর বিপাকক্রিয়া পুরিন (purines)—যা ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে—ভাঙতে সহায়তা করে। এই দাঁড়ানো আসনটি ভারসাম্য ও সমন্বয় বাড়াতেও কার্যকর।

এই যোগাসনগুলো আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিকভাবে সহায়তা পেতে পারেন। খাদ্যাভ্যাস এবং জলপানের সঙ্গে যোগব্যায়াম মিলিয়ে নিলে তা গেঁটেব্যথা ও অস্থিসন্ধির স্বাস্থ্য উন্নয়নে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।