
ছবি: প্রতীকী
সরকারি খাস জমি লিজ নিতে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট আবেদনপদ্ধতি, যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া এবং নির্ধারিত শর্তাবলি। তবে অনেকেই এই নিয়ম-কানুন না জানায় দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে অর্থ ও সময় দুই-ই হারাচ্ছেন। ভূমি মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য মতে, লিজ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করলে নাগরিকরা স্বচ্ছ ও আইনি উপায়ে সরকারি খাস জমি ভোগ করতে পারেন।
খাস জমির মালিকানা ও লিজের যোগ্যতা
বাংলাদেশে যেসব জমি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রিকৃত নয়, সেগুলোকে সাধারণত সরকারি খাস জমি বলা হয়। এসব জমির মালিক বাংলাদেশ সরকার। তবে সরকারের অনুমতি ও নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশি নাগরিকরা এসব জমি চুক্তিভিত্তিতে লিজ নিতে পারেন।
কোথায় ও কিভাবে আবেদন করবেন?
সরকারি খাস জমির জন্য লিজ পেতে হলে আবেদন করতে হবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিসে। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করবেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। যাচাইয়ে আবেদনকারী যোগ্য বিবেচিত হলে তার অনুকূলে জমি লিজের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে লিজ চুক্তিপত্র সম্পাদন করে জমি ভোগ করা যায়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- খাস জমি লিজ নিতে নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে—
- খাস জমি লিজের জন্য আবেদনপত্র
- ভোটার আইডি কার্ড/জন্ম নিবন্ধনের অনুলিপি
- ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা প্রদত্ত নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ
- সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- যে জমি লিজ নিতে চাওয়া হচ্ছে তার বিবরণ
কত টাকা খরচ হয়?
লিজের ফি নির্ভর করে জমির অবস্থান, প্রকৃতি ও ব্যবহারযোগ্যতার ওপর। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, খাস জমি লিজ পেতে সাধারণত খুব বেশি খরচ হয় না। খরচের হিসাব জমির পরিমাপ ও ব্যবহার অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
কত সময় লাগে?
আবেদনপত্র ও কাগজপত্র সঠিক থাকলে ২১ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে লিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সময় বাড়তে পারে, যা নির্ভর করে তদন্ত ও অনুমোদনের অগ্রগতির ওপর।
লিজের মেয়াদ কতদিন?
সরকারি খাস জমির লিজ সাধারণত ৩০ বছর থেকে ৯৯ বছর পর্যন্ত দেওয়া হয়। মেয়াদ শেষে লিজ নবায়নের সুযোগও থাকে।
রাকিব