ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভূমির জন্য আর নয় দলিল-খতিয়ান, আসছে ডিজিটাল মালিকানা সনদ

প্রকাশিত: ১৪:৩৬, ২ জুন ২০২৫

ভূমির জন্য আর নয় দলিল-খতিয়ান, আসছে ডিজিটাল মালিকানা সনদ

ছবি: সংগৃহীত।

ভূমি ব্যবস্থাপনায় আসছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। দলিল, খতিয়ান বা পর্চার পরিবর্তে চালু হতে যাচ্ছে আধুনিক ডিজিটাল মালিকানা সনদ—সার্টিফিকেট অফ ল্যান্ড ওনারশিপ (CLO)। জানা গেছে, জুলাই মাসের মধ্যেই এই স্মার্ট কার্ড চালুর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে।

সার্টিফিকেট অফ ল্যান্ড ওনারশিপ বা ভূমি মালিকানা সনদ একটি স্মার্ট কার্ড আকারে প্রদান করা হবে, যাতে থাকবে: ইউনিক নম্বর ও কিউআর কোড, জমির মালিকানা সম্পর্কিত সকল তথ্য, এনআইডির সঙ্গে লিংক করা মালিকানা রেকর্ড, এই স্মার্ট কার্ডই হবে জমির মালিকানা নির্ধারণের একমাত্র এবং চূড়ান্ত দলিল। 

এর মাধ্যমে করা যাবে: দলিল যাচাই, নামজারি (মিউটেশন), ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ, অন্যান্য জমি-সংক্রান্ত সরকারি কার্যক্রম।

সনদ পেতে যা করতে হবে: ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করুন, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সংযুক্ত করুন, দলিল, খতিয়ান বা পর্চার অনুলিপি আপলোড করুন, ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা অনলাইনে পরিশোধ করুন, সবকিছু যাচাই-বাছাইয়ের পর ভূমি মালিককে সরবরাহ করা হবে ডিজিটাল মালিকানা সনদ।

ভূমি মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, যদি কোনো মালিক টানা তিন বছর খাজনা পরিশোধ না করেন, তাহলে তার মালিকানা বাতিল হয়ে জমিটি সরকারি খাস খতিয়ানে রূপান্তরিত হবে। ফলে নাগরিকদের নিয়মিত খাজনা পরিশোধের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

এই স্মার্ট কার্ড থাকলে আর আলাদা করে দলিল, খতিয়ান বা করের কাগজ বহন করতে হবে না। সরকারি সার্ভারে থাকা তথ্য QR কোড স্ক্যান করলেই যাচাই করা যাবে। ফলে সহজ হবে: জমি হস্তান্তর, মিউটেশন, ব্যাংক লোন নেওয়া, জমি নিয়ে মামলা বা জটিলতা নিরসন।

জুলাইয়ের মধ্যেই এই কর্মসূচি সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। তাই ভূমির প্রকৃত মালিকদের দ্রুত আবেদন করার ও নিয়মিত খাজনা পরিশোধের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, যেখানে স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা এবং নাগরিক সেবা আরও সহজ ও নির্ভরযোগ্য হবে।

সূত্র: https://shorturl.at/hbvx0

মিরাজ খান

আরো পড়ুন  

×