ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কত বছর পরপর হয় জমির রেকর্ড? ভুল সংশোধনে শর্ত ও করণীয়

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ১ জুন ২০২৫

কত বছর পরপর হয় জমির রেকর্ড? ভুল সংশোধনে শর্ত ও করণীয়

ছবি: প্রতীকী

জমির রেকর্ড নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়লেও এখনো অনেকেই জানেন নাজমির রেকর্ড কত বছর পরপর হয় কিংবা ভুল রেকর্ড হলে তা সংশোধনের নিয়ম কী। অথচ জমির রেকর্ডই হলো মালিকানার অন্যতম প্রাথমিক দলিল। একজন ব্যক্তির কত শতাংশ জমি রয়েছে, তার অবস্থান কোথায়এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে রেকর্ডে।

বাংলাদেশে সাধারণত প্রতি ৩০ বছর পরপর সরকারি উদ্যোগে নতুন করে জমির রেকর্ড প্রস্তুত করা হয়। এছাড়াও জমির মালিকানা পরিবর্তন হলে কিংবা খতিয়ান হালনাগাদের প্রয়োজন দেখা দিলে নতুন মালিকের নামে রেকর্ড সংশোধন বা সংযোজন করা হয়।

এই কাজ পরিচালনা করেন সরকারি নিযুক্ত আমিন বা ভূমি জরিপ কর্মকর্তারা। তাঁরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে মাপজোক করে জমির তথ্য সংগ্রহ করেন এবং নতুন রেকর্ড প্রস্তুত করেন।

রেকর্ড ভুল হলে কী করবেন?

অনেক সময় জমির রেকর্ড ভুলক্রমে অন্য কারও নামে হয়ে যায়, যার ফলে আসল মালিক পড়েন বিপাকে। এ ধরনের ভুল সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ড বরাবর আবেদন করতে হয়।

সঠিকভাবে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হলে সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে রেকর্ড সংশোধনের কাজ সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত ফি রয়েছে ১,১২০ টাকা।

ভুল রেকর্ড সংশোধনের শর্ত

ভূমি বিশেষজ্ঞরা জানান, যদি জমি ভুলবশত অন্যের নামে রেকর্ড হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি যদি রেকর্ড ভুল স্বীকার করে আসল মালিককে দাবিহীনভাবে দলিলের মাধ্যমে জমি ফেরত দেন, তাহলেই মূল মালিকের নামে রেকর্ড সংশোধন সম্ভব হয়। তবে এ ক্ষেত্রে দলিল সঠিক ও নির্ভরযোগ্য হতে হবে।

জমির মালিকানা নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে জটিলতা না হয়, সেজন্য প্রতি ৩০ বছর পরপর রেকর্ড হালনাগাদের সময় জমির দলিল, খতিয়ান ও দাগ নম্বর ভালোভাবে যাচাই করা জরুরি। কেউ রেকর্ড সংশোধনের আবেদন করতে চাইলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে কোনো ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না।

রাকিব

×