উদ্ধার অভিযানে কোষ্টগার্ড
নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার সাগর মোহনার শিবচর এলাকায় ঢেউয়ের কেবল পরে ১৩ জেলেসহ মাছধরার ট্রলার ডুবে গেছে। ওই সময় অন্য জেলে ট্রলারের সহায়তায় ৫ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু ট্রলার ডুবির একদিন পর আজ শনিবার পর্যন্ত নিখোঁজ ৮ জেলের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার ভোলার চরফ্যাসনের ঢালচরের দক্ষিণে সাগর মোহনার শিবচর এলাকায় ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে কোষ্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও ট্রলার মালিকের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে।
এদিকে, নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের মধ্যে চলছে চরম উৎকণ্ঠা। স্বজনরা অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবিত অথবা মৃত মরদেহ উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
ট্রলার মালিক রুবেল চৌকিদার সাংবাদিকদের জানান, গত ২৬ জুলাই চরফ্যাসনের আহমেদপুর ইউনিয়নের শুকনাখালী মাছঘাট থেকে ১৩জন মাঝি-মাল্লাসহ তার মালিকানাধীন একটি ট্রলার মাছ ধরতে শিবচর এলাকায় যায়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে শিবচর থেকে ঘটে ফেরার পথে ঢেউয়ের তোরে ট্রলার উল্টে যায়। ওই সময় ট্রলার মাঝি মো. দুলালসহ ৫ জনকে অন্য ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করলেও বাকি ৮ জন জেলের কোন সন্ধন পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন- নুর আলম (৩০), কবির (৩২), শাহে আলম মোল্লা (৫০), মো. বেল্লাল (৫০), ছাদেক মাল (৬০), সবুজ (৪০), মো. হোসেন মাঝি (৫০), জাহাঙ্গীর মিস্ত্রি (৪৫)। উদ্ধার ও নিখোঁজ জেলেদের সবার বাড়ি চরফ্যাসনের নুরাবাদ ও আহমেদপুর ইউনিয়নে।
ট্রলার মালিক রুবেল চৌকিদার জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝি দুলালসহ অন্য একটি ট্রলারে নিজেদের উদ্যোগে নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোন, ঢাল চরের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য ও চর কুকরি মুকরির নৌ পুলিশ ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদী উত্তাল থাকায় অভিযান ব্যহত হচ্ছে। নিখোঁজ জেলেদের এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এম হাসান