ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

বেনাপোলে যাত্রী পারাপারে ঢল

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল

প্রকাশিত: ২১:২৬, ৮ এপ্রিল ২০২৪

বেনাপোলে যাত্রী পারাপারে ঢল

চেকপোস্ট দিয়ে  যাত্রী পারাপারে উপচেপড়া ভিড়

ঈদের ছুটিতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারে ঢল নেমেছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ হাজার যাত্রী পারাপার হচ্ছে এ চেকপোস্ট দিয়ে। অভিযোগ উঠেছে নানা অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির মধ্য দিয়ে যাত্রীদের পারাপার হতে হচ্ছে। এমনকি মাত্র ৫শ’ গজ পথ পাড়ি দিতে একজন পাসপোর্ট যাত্রীর সময় লাগছে ৬-৭ ঘণ্টা। বেনাপোল কাস্টমস ইমিগ্রেশন ও হরিদাসপুর ইমিগ্রেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না যাত্রীরা।

এ কারণে ভুক্তভোগী পাসপোর্ট যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্তে এক শ্রেণির দালাল চক্র এবং পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তাদের দ্বারাও যাত্রী হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। সেবার মান বৃদ্ধি করাসহ এসব অব্যবস্থাপনার জন্য যাত্রীরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা, ভ্রমণসহ নানা কারণে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ঈদের ছুটিতে যাত্রী পারাপার বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭-৮ হাজারে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, ‘নোম্যান্সল্যান্ডে দীর্ঘ লাইনে অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছে পাসপোর্টধারীরা। আমরা আন্তর্জাতিক মানের সেবা চাইছি।’

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণের উদ্দেশে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেন পাসপোর্টধারীর যাত্রীরা। ভারত ভ্রমণে প্রত্যেক যাত্রীকে ভ্রমণকর বাবদ বাংলাদেশ সরকারকে ১ হাজার ৫৫ টাকা এবং ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারকে ৮৫০ টাকা দিতে হয়। কিন্তু কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না যাত্রীরা।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বেনাপোল বন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল সম্প্রসারণের কাজের পাশাপাশি যাত্রী ছাউনি করতে জায়গা অধিগ্রহণের কাজ চলছে।

×