ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ঢাকা-৫

নৌকার টিকিট প্রত্যাশী এক ডজন নেতা, ধানের শীষের দুজন

শরীফুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০১:০৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নৌকার টিকিট প্রত্যাশী এক ডজন নেতা, ধানের শীষের দুজন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশে বইছে নির্বাচনী হাওয়া

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ঢাকা-৫ আসনও এর ব্যতিক্রম নয়। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। নিজ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন তারা। এলাকার উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ের কথা ভেবে ভোটাররাও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
সরেজমিনে জাতীয় সংসদের ১৭৮ (ঢাকা-৫) আসনের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের বড় বড় ছবি সংবলিত ব্যানার ও পোস্টার সাঁটিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন।

আর তাদের কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকা- ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রার্থী সম্পর্কে জনমত তৈরির চেষ্টা করছেন। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এ এলাকায় মাঠে সক্রিয় রয়েছেন অনেক নেতা। এর মধ্যে নৌকার টিকিট প্রত্যাশী প্রায় এক ডজন নেতা। বিএনপিরও দুজন সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। দেড় দশক পর এ আসনটি ফিরে পেতে চায় বিএনপি। 
আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রকাশ্যে নির্বাচনী গণসংযোগ করলেও বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল নীরবে নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে থাকায় আবারও এ আসনে জয়লাভ করতে চায় দলটি। আর সেভাবেই নির্বাচনী প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তবে প্রায় ১৫ বছর এ আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হলেও এবার তা ফিরে পেতে চান দলটির নেতাকর্মীরা। তাই স্থানীয় বিএনপি নেতারা চুপে চুপে ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। 
ঢাকা-৫ আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, পরপর তিনবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য থাকায় এবং এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় সর্বস্তরের মানুষ খুশি। তবে দ্রব্যমূল্যসহ কিছু বিষয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষও রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে এই সংসদীয় আসনে এখন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে। তবে জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা বিরোধ দেখা দিয়েছে। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাকে বিজয়ী করার বিষয়ে কারও মধ্যেই দ্বিমত নেই বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিতেও একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী থাকায় দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা মতভেদ রয়েছে। তবে বিএনপি হাইকমান্ড যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার মানসিকতা তাদের রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।   
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে ঢাকা-৫ আসনটি ওই দলের বেদখলে। এরপর টানা তিনবার নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ আসনে বিজয়ী হয়। প্রায় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ঢাকা-৫ আসনেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়। এ কারণে আওয়ামী লীগের অবস্থানও শক্তিশালী হয়। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে সক্রিয় থাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা মতপার্থক্য তৈরি হয়। এ আসনের বর্তমান এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।

এবারও তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশী। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল কর্মকা-ে শরিক থাকলেও এখন বিভিন্ন কারণে তার সঙ্গে কারও কারও বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। তবে কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে যারা বেশি পছন্দ করেন, দলের এমন সাধারণ নেতাকর্মীরা তা অস্বীকার করেছেন।
ঢাকা-৫ আসন থেকে বেশ কয়েকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা মৃত্যুবরণ করেন ২০২০ সালের ৬ মে। পরে এ আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।

এর ফলে হাবিবুর রহমান মোল্লা জীবিত থাকতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে যে ঐক্য ছিল তাতে ছেদ পড়ে। এ কারণে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন নিজের মতো করে এলাকায় গণসংযোগ করছেন। এর ফলে দলটির সাধারণ নেতাকর্মীরা এখন আগের তুলনায় দলীয় কর্মকা-ে তেমন সক্রিয় নন। কোন নেতার পেছনে হাটলে কোন নেতা কি মনে করেন এই ভেবে দলীয় কর্মকা-ে তেমন সক্রিয় হতে পারছেন না। 
বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুসহ ঢাকা-৫ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান প্রায় এক ডজন নেতা। এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যানুসারে, কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ছাড়াও দলের অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, প্রয়াত সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার বড় ছেলে মশিউর রহমান মোল্লা সজল, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদ মুন্না, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও শহীদ শেখ কামালের স্ত্রী শহীদ সুলতানা কামালের ভাতিজি নেহরীন মোস্তফা দিশি, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাসুদ, ৭০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দুবারের নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিকুর রহমান, এশিয়ান টিভির মালিক ব্যবসায়ী নেতা হারুন উর রশিদ। তারা সবাই এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছেন।

এ ছাড়াও আরও কয়েকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী। এখন যারা আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় গণসংযোগ করছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের মধ্যে যে কোনো একজনকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হলে অন্য সবাই বিরোধিতা করতে পারে বলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের ঐক্যবদ্ধ না করা গেলে অন্য এলাকার কোনো সিনিয়র নেতাকে ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি অথব্য অন্য কোনো ভিআইপি নেতা ঢাকা-৫ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মনে করছেন।
ঢাকা-৫ আসনে এবার বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে চান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবং  জাতীয়তাবাদী শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া। প্রকাশ্যে গণসংযোগ না করলেও তারা দুজনই নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে নীরবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেইসঙ্গে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন। 
স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-৫ আসন থেকে এবার আরও নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ১৪ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ এবং ইসলামী আন্দোলনসহ আরও কয়েকটি দলের প্রার্থী।
ঢাকা-৫ আসন এলাকায় ভোটের হাওয়া সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে কথা হয় বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। এমনই একজন মাতুয়াইল এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নূপুর। তিনি জানান, সংসদ নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের আনাগোনা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ এলাকায় এসে গণসংযোগ করছেন। সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিতে দেখা যায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের। 
ডেমরার মাহমুদনগর এলাকার বাসিন্দা ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, এই এলাকাটিতে এককভাবে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক বেশি। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের বেশ কয়েকজন নেতা নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ছেন। তাই নির্বাচনের আগে তাদের ঐক্যবদ্ধ করা না গেলে অন্য এলাকার কোনো ভিআইপি প্রার্থীকে এ এলাকায় নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হতে পারে। তিনি জানান, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ এলাকায় বিএনপি তেমন শক্তিশালী নয়। তবে এ এলাকায় অনেক মাদ্রাসা রয়েছে। এই মাদ্রাসাগুলোকে কেন্দ্র করে এলাকায় জামায়াত, হেফাজত ও ইসলামী আন্দোলনের অনেক কর্মী-সমর্থক রয়েছে। তারা যদি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে সমর্থন দেয় তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। 
দনিয়া এলাকার গৃহিণী সাকেরা বেগম বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তাই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী নির্বাচনেও আমরা যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেব। তবে কে যোগ্য প্রার্থী সে বিষয়ে আমরা খোঁজখবর রাখছি।
স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার বাবুল হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে এক সময়ের অবহেলিত এ এলাকাটি এখনো অনুন্নত এলাকাই থেকে যেত। তাই এলাকাবাসী মনে করছে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো একজন যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে তারা ভোট দিয়ে বিজয়ী করার চেষ্টা করবেন। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা-৫ আসনের একজন বাসিন্দা জানান, আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। সুষ্ঠু নির্বাচনে যিনি এমপি নির্বাচিত হবেন, তাকেই আমরা মেনে নেব। তাই সরকারের উচিত সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
মাতুয়াইলের স্থায়ী বাসিন্দা সরকারি কর্মকর্তা শাকিলুর রহমান বলেন, প্রয়াত সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের হাতেই এ এলাকার সিংহভাগ উন্নয়ন হয়েছে। তার মতো জনপ্রিয় নেতার আজ অভাব। তাই এলাকাবাসী মনে করছেন, অনেক প্রার্থীর মাঝে সবচেয়ে যোগ্য স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীকেই তারা বেছে নেবেন। 
ঢাকা-৫ আসনটি জাতীয় সংসদের ১৭৮ নং আসন। এটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯ ও ৫০, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।  এ আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪১ হাজার ৪৬৪ জন আর নারী ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৬৬৫ জন। এ আসনটি রাজধানীর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রবেশমুখ। এই এলাকা থেকে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হন বিএনপির সালাউদ্দিন আহমেদ। আর  ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লা ও ২০০১ সালে নির্বাচিত হন বিএনপির সালাউদ্দিন আহমেদ।

 ২০০৮ সালে আবারও নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লা। পরের দুবারও অর্থাৎ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লা। তার মৃত্যুর পর ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।

×