হাওড়ে নৌকায় গণসংযোগকালে অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন
হাওড় বেষ্টিত জেলার বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলাকে নিয়ে হবিগঞ্জ-২ আসন। আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬২২ জন। এর মধ্যে বানিয়াচং উপজেলায় ২ লাখ ৭২ হাজার ৬১০ ভোট। আজমিরীগঞ্জে ৯৩ হাজার ১২ জন ভোটার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জনগণের কাছে ভোট চাইছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারা পত্রিকায় শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন, পোস্টার সাঁটানো, লিফলেট বিতরণ, সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে নির্বাচনী এলাকা সরগরম করে রেখেছেন। ঐতিহ্যগতভাবে এই আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচনায় অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির আইনবিষয়ক সদস্য ছিলেন তিনি। বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক।
তার বাবা অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ ও ৯৬ সালের নির্বাচনে টানা দুইবার এমপি হন। ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৯৭ সালের উপনির্বাচনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি নির্বাচিত হন।
বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশার গ্রামের বাসিন্দা সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন আহমেদের ছেলে অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। হাওড়বাসীর কাছে তিনি নৌকা প্রতীকের গ্রহণযোগ্য প্রার্থী। লোকজন তাকে এ আসনের এমপি হিসেবে দেখতে চায়। হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল বলেন, আমার বাবা এ আসন থেকে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হয়ে তৃণমূল মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন।
আমি ছাত্র জীবন থেকেই এলাকার তৃণমূল মানুষের পাশে আছি। লোকজন আমাকে ভালোবাসে। আমিও লোকজনকে শ্রদ্ধা করি ও ভালোবাসি। লোকজন আমাকে এ আসন থেকে এমপি দেখতে চায়। আমি লোকজনের ভালোবাসায় মুগ্ধ। হাওড়বাসীর চাহিদামূলক উন্নয়ন করতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার বিশ্বাস শ্রদ্ধেয় জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দেবেন।