
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর ভাঙন
মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর অব্যাহত ভাঙন বাড়ছেই। নদীর দুই পাড়ে পৌরসভার ছয়টি ওয়ার্ডসহ আট ইউনিয়নে ২০টি গ্রাম বিস্তৃত থাকায় কমপক্ষে পাঁচ হাজার পরিবার ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে। এর মধ্যে পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্র ১নং ওয়ার্ডের ফেরিঘাটসংলগ্ন বারইখালী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৬০০।
জোয়ারের সময় এসব পরিবারের সদস্যরা রান্না-খাওয়া ভুলে যুদ্ধ করে পানির সঙ্গে। একটানা পাইলিং না থাকার কারণে বারইখালী, ফেরিঘাট এলাকা, কুঠিবাড়ি, লঞ্চঘাট এলাকা, সানকিভাঙ্গা, সোলমবাড়িয়া নদীর তীরবর্তী এলাকার কমপক্ষে পাঁচ হাজার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে।
পৌরসভা মেয়র এসএম মনিরুল হক তালুকদার বলেন, পানগুছি নদীর ভাঙনে মূল শহরের চার ভাগের একভাগ এখন অবশিষ্ট আছে। শত শত বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও সদর বাজারের বেশিরভাগ নদীগর্ভে চলে গেছে। তবে শীঘ্রই পানগুছি নদীর পশ্চিম পাড় থেকে মূল শহরের ভাঙন সুরক্ষাকাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড় বাগেরহাট জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, নতুন টেন্ডার হয়েছে, ঠিকাদারও পাওয়া গেছে। মোরেলগঞ্জ পৌর এলাকার নদীর তীর প্রতিরক্ষার কাজ বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই পুরোদমে শুরু হবে। তবে, ৯৫ কিলোমিটার স্থায়ী বেড়িবাঁধের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রোপোজাল পাঠানো হয়েছে।