
সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সেনা অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর মূল ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে সেনাবাহিনী। খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করা যাবে। তবে কোনো সন্ত্রাসী যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়, তাদের স্বাগত জানানো হবে।
তিনি বলেন, শান্তিতে যে সমস্যার সমাধান সম্ভব, তার জন্য আমরা সংঘাতে কেনো যাবো। কিন্তু হার্ডলাইনে যেতে হলেও যাবো, তারা দেশের ক্ষতি করছে, জনগণের ক্ষতি করছে, তা রোধ করতে যদি শক্ত অবস্থানে যেতে হয় অবশ্যই যাবো। কিন্তু সেটি প্রাথমিক ধাপ। শান্তিপূর্ণভাবেই সবকিছু সমাধান করতে চাই। কিন্তু কেউ মরণ কামড় দিলে তাও প্রতিহত করা হবে।
রবিবার (৪ জুন) বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়ন মিলনায়তনে বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সেনা প্রধান বান্দরবান সেনানিবাসে সৈনিক ও কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। মতবিনিময়কালে সেনা প্রধান বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খুবই মানবিক। সারাবিশ্বে মানবিকতার জন্য বিখ্যাত। জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী মিশনেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবস্থান এক নাম্বার।
তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্মাণ সম্পন্ন হলে এই অঞ্চলটি পর্যটনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হয়ে উঠবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, রামু সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মাসুদুর রহমান, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান, বান্দরবান ৬৯ রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দীন আহমেদ সহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ