বাজারে উঠেছে লিচু।
‘লিচুর রাজ্য’ খ্যাত দিনাজপুরে জমে উঠেছে বেচাকেনা। বাজারে এসেছে মাদ্রাজি, বেদানা, বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু। ১০০ লিচু সর্বনিম্ন ৪০০ ও সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। ভালো দাম পেয়ে চাষিরা খুশি হলেও সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এটা সাধ্যের বাইরে।
দিনাজপুরে শহরের নিউমার্কেটে লিচুর বড় বাজার বসে। এই মার্কেটের পুরোটাই এখন ভরে উঠেছে লিচুতে। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দোকানগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় থাকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সারি সারি ঝুড়িতে লিচু সাজিয়ে রাখা হয়েছে। একদিকে চলছে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাক। অপরদিকে চলছে দর-কষাকষি। বাজারে মাদ্রাজি, বেদানা ও বোম্বাই জাতের লিচু বেশি দেখা গেলেও খুচরা বাজারে অল্প পরিমাণ দেখা মিলেছে চায়না-থ্রি লিচু।
জানা গেছে, পাইকারিতে মাদ্রাজি লিচুর হাজার বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৫০০ টাকা। বেদানার হাজার সাত-১০ হাজার, চায়না থ্রি সাত-আট হাজার এবং বোম্বাই ২২০০-২৫০০ টাকা।
পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, এবার বাগানে উৎপাদন কম হয়েছে। এজন্য দাম বেশি। আবার শ্রমিক খরচও বেশি। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ছোট আকারের ১০০ বেদানা লিচু ৫০০-৭০০ টাকা বিক্রি করছি। তবে বড়গুলোর দাম বেশি। আমাদের লাভ সীমিত। ১০-১৫ টাকা লাভ হলে বিক্রি করে দিচ্ছি। ১০০ মাদ্রাজি লিচু ৪০০, বেদানা ৫০০-৯০০, চায়না-থ্রি ৮০০-৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা কম।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় পাঁচ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান আছে পাঁচ হাজার ৪১৮টি। এবার লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ হাজার ৭৯০ মেট্রিক টন। এবার বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচুর ফলন কিছুটা কম। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।
এমএইচ