![মধুপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি মধুপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023January/35-2303291111.jpg)
ঝড়ে ফসলের ক্ষতি
টাঙ্গাইলের মধুপুরের পাহাড়ী অঞ্চলে গত বুধবার অনুমানিক রাত ৩ টার সময় শিলাবৃষ্টি সহ কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় কলা,ভূট্টা, ধান ও বিদ্যালয়ের পাঠাগার সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে ঐ অঞ্চলের কৃষকেরা। ভেস্তে গেছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার শোলাকুড়ী ইউয়িন সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে শিলা বৃষ্টি সহ কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে ফসলি গাছ নষ্ট হয়েগেছে। শোলাকুড়ী এলাকার কৃষক আজাহার আলী জানান, শিলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর ঝড়ের ব্যাপক বাতাসে আমার সাড়ে পাঁচ বিঘা জমির কলা’র গাছ ও ৪ বিঘা জমির ভূট্টা’র ফসল সহ গাছ ভেঙ্গে নষ্ট হয়েছে। এতে মোট প্রায় আনুমানিক সাড়ে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোন খোঁজ খবর নেয়নি। ঝড়ে আমাদের কৃষকদের সোনালী স্বপ্ন ভেস্তে গেছে।
অপর কৃষক মাজম, ইমাম আলী এরা সহ আরো অনেকে জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ধান,কলা, সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফসলী গাছ ফসল সহ ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে এখন আমরা সর্বশান্ত। সরকারী সহযোগীতা কামনা করছি।
বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাদ্দেছ আলী জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের পাঠাগার ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা পাঠাগার ও বঙ্গবন্ধু কর্ণারে বই পড়তে পারছেনা। এই অবস্থায় বিদ্যালয়ের পাঠাগার মেরামতে সরকারী সহযোগীতার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শোলাকুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী বলেন, আমাদের শোলাকুড়ী ইউনিয়নে ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। আমি উপজেলা কৃষি বিভাগকে জানিয়েছি। কৃষকদেরকে সরকারীভাবে সহযোগীতার জন্য বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের মাননীয় কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি’র সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, এখন মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় হচ্ছে। তবে সরকারী ভাবে কোন নির্দেশনা পেলে আমারা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
এমএস