হরিণের ছবি সংযুক্ত। ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ
শ্রীমঙ্গলে কালনী ট্রেন থেকে একটি জবাই করা হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। বিলম্বে প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন রুমের কাছে বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি জবাইকৃত হরিণ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন হরিণটিকে জবাই করা হয়েছে। হরিণটি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ছিল।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রীমঙ্গল ষ্টেশনে ট্রেন থামলে ট্রেনের ইঞ্জিন রুমে একটি বস্তা দেখে শ্রীমঙ্গল রেল পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে বস্তাটি খুলে সেখান থেকে একটি গলাকাটা হরিণ উদ্ধার করা হয়। পরে হরিণটি উপজেলা প্রাণীসম্পদ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কর্ণ চন্দ্র মল্লিক বলেন, আমরা ময়নাতদন্ত শেষে প্রাথমিক ভাবে বুঝতে পেরেছি হরিণটিকে ধারলো কোনো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, লাউয়াছড়া ও পার্শ্ববর্তী রাবার ও চা বাগানে হরিণগুলো প্রায়ই ঘুরে বেড়ায়। সেখান থেকেই ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে হরিনটিকে ধরে জবাই করে একটি চক্র ট্রেনে উঠায়। তিনি আরও বলেন লাউয়াছড়া বনের কোন এক স্থানে ট্রেন থামিয়ে বস্তাবন্দী জবাই হরিণ উঠানো হয়। এটি দুঃখ জনক ঘটনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন এভাবে প্রায় সময়ই হরিণ ধরে জবাই করে মাংশ বিক্রি করা হয় এবং দেশে বিভিন্ন ন্থানে আত্বীয় স্বজন ও ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উপহার হিসেবে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরে মৃত হরিণটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হরিণটি জবাই করে বস্তায় ভরে ট্রেনে করে অন্য কোন স্থানে নিয়ে যাচ্ছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: কর্ণ চন্দ্র মল্লিক জানান, পোস্টমর্টেম পরীক্ষায় হরিণটির বাহ্যিক ক্ষত পাওয়া গেছে। এর গলা একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা ছিল। বাদামী রং এর হরিণটি নারী ছিল। আনুমানিক বয়স দুই বছর হবে। এর উচ্চতা ০.৫৬ মিটার, দৈর্ঘ্য: ১.২২ মিটার।
এমএস
