
স্ত্রীকে স্বামীর লাথি
পারিবারিক কলহের জেরে লাথি মেরে স্ত্রী আলিয়া খাতুনকে (২৬) তিনতলা থেকে ফেলে দিয়েছে স্বামী অনিক (২২)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আলিয়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী নগরের পাঠানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক। তবে এখনও কোনো মামলা হয়নি।
অনিক রাজশাহী নগরের পাঠানপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে এবং আলিয়া খাতুনের বাবার বাড়ি একই এলাকায়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, আলিয়া খাতুন কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছেন। ওপর থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে হাড় ভেঙে গেছে কি না, সেটি এক্স-রে করার পর বলা যাবে। রোগীকে হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করানো হয়েছে।
আলিয়ার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সুমনা বেগম জানান, তার ননদের আগে অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। অনিকের অত্যাচারে আলিয়া সেই স্বামীর সংসার করতে পারেনি। পরে অনিককে বিয়ে করে। অনিকের সঙ্গে আরও একটি মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। অনিক তার ফোনের সিমটা সেই মেয়েকে দিয়ে এসেছেন। আলিয়া ফোন করলে ওই মেয়ে ধরেছে। এ নিয়ে অনিক ও আলিয়ার মধ্যে কলহ চলছিল। আজ আলিয়াকে বেদম মারছিলেন অনিক। তার দুই জা এর সামনেই লাথি দিয়ে অনিক তিনতলা থেকে আলিয়াকে ফেলে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী লিপি খাতুন বলেন, সেলিনা ঘরের ভেতর থেকে আলিয়াকে ধরে বাইরে আনছিলেন। এ সময় অনিক এসে এমন জোরে লাথি দেন যে আলিয়া নিচের একটি টিনের চালার ওপরে পড়ে যান। তার দেবর রাশেদ দোতলায় ছিলেন। তিনি লাফ দিয়ে টিনের চালার ওপর নেমে আলিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দী জানান, অনিক নেশাগ্রস্ত। মাঝেমধ্যে নেশার টাকার জন্য সে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা করত। আজ কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সে তার স্ত্রীকে লাথি মেরে তিনতলা থেকে ফেলে দিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করছে। তার স্ত্রীর অবস্থা খুব একটা ভালো না। স্বজনরা চাইলে মামলা করতে পারবেন।
এমএইচ