ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

চলাচলের সড়কে বর্জ্য ফেলায় জনদুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২০:০১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

চলাচলের সড়কে বর্জ্য ফেলায় জনদুর্ভোগ চরমে

বর্জ্য

উপজেলার কুয়াকাটা সৈকতের লেম্বুরবনে যোগাযোগের একমাত্র সড়কের দুই পাশ জুড়ে পৌরসভার ফেলা বর্জ্যে একাকার হয়ে থাকছে। প্লাস্টিক-পলিথিন থেকে শুরু করে পঁচাবাসি খাবার, মরা পশু-পাখি পর্যন্ত ফেলা হয় সড়কটির পাশে। ফলে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। দুর্গন্ধে ওই পথে চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে। 

এসব ময়লা আবর্জনা আবার আগুনে পোড়ার সময় নির্গত ধোয়ায় গোটা এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে যায়। পরিবেশ প্রতিবেশের জন্য এই ময়লা আবর্জনার ভাগাড় এখন হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। আশপাশের বসতি গড়া মানুষও বিপাকে পড়েছেন।

পর্যটকসহ স্থানীয়রা জানান, এক নং ওয়ার্ডের ওই স্থানে রাস্তার দুই পাশে কুয়াকাটা পৌরসভার ময়লার গাড়ি বোঝাই করে পৌর এলাকার আবাসিক ও হোটেল মোটেলের সকল ধরণের বর্জ্য খোলা স্থানে ফেলছে। এমনকি প্লাস্টিক-পলিথিনের পাশাপাশি কুকুর-বিড়ালের মৃতদেহ পর্যন্ত ফেলে রাখা হয়। স্থানীয়রা বারবার নিষেধ করেও এর কোন প্রতিকার  পায়নি। 

সেখানকার বাসীন্দা নুরুল হক জানান, পৌরসভার এই ময়লাগুলোকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখার কারনে বাতাসে আশাপাশের বাড়িতে দূর্গন্ধে থাকা যায়না। পলিথিন ওড়ছে বাতাসে। নানান রোগ-বালাই সংক্রমিত হওয়ার শংকায় রয়েছেন তারা। দ্রুত এই ময়লা আবর্জনা অপসারণের দাবি তাদের। এসব ময়লা-আবর্জনা যখন আগুনে পোড়ানো হয় তখন এলাকাজুড়ে বাতাস দূষিত হয়ে যায়। ধোয়ায় অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়।

পৌরসভার এসব আবর্জনা পোড়ানোর দায়িত্বে থাকা ফারুক হোসেন জানান, ময়লার গাড়ি এখানে ময়লা ফেললে পেট্রোল দিয়ে পোড়ানো হয়। কুয়াকাটার সকল আবাসিক, খাবার হোটেলের সকল ধরণের বর্জ্য প্রকাশ্যে পর্যটক চলাচলের একমাত্র সড়কের পাশে ফেলে পোড়ার ব্যাপারে ফারুক হোসেন কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। 

 

এমএস

×