ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে সুপেয় পানি সংকট নিরসন

নিজস্ব সংবাদদাতা, খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ০১:০৭, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

খাগড়াছড়িতে সুপেয় পানি সংকট নিরসন

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের লাইন থেকে পানি নিচ্ছেন পাহাড়ি নারীরা

খাগড়াছড়িতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫শ’ ফুট উঁচু গ্রামে প্রথমবারের মতো সুপেয় পানির সংকট নিরসন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এত উঁচু গ্রামে পানি সরবরাহ এটিই প্রথম। এতে সুপেয় পানি সংকটের অবসান হয়েছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পানির সংকট নিরসনের এমন প্রকল্প বাড়ানোর তাগিদ স্থানীয় বাসিন্দাদের। 
দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশেই নয়মাইল গ্রাম। পাহাড়ের চূড়ায় অন্তত আড়াইশ’ পরিবারের বসবাস । শুষ্ক মৌসুম আসলেই সুপেয় পানির তীব্র সংকট শুরু হয়। পাহাড়ের ঝিরি থেকে পানি সংগ্রহ করত গ্রামবাসী। এ সংকট নিরসনে একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও পাথুরে পাহাড় হওয়ার কারণে পানি স্তর পাওয়া যায়নি। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় রুরাল পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেমের মাধ্যমে অবশেষে পানি পাচ্ছে গ্রামের বাসিন্দারা। 
গ্রামবাসী অজয় ত্রিপুরা, সুচরিতা রোয়াজা, অনিল ত্রিপুরা ও মনিময় রোয়াজা জানান শুষ্ক মৌসুমে পাহাড়ি ঝিরি থেকে কলসিতে পানি সংগ্রহ করতে হয়। পানির জন্য ১-২ কিলোমিটার দূর থেকে পানির সংগ্রহ করতে হয়। অবশেষে আমাদের কষ্টের দিন শেষ হলো। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী, রেবাকা আহসান স্বাধীনতার পর থেকে এখানে মানুষের পানির কষ্ট ছিল। শুষ্ক মৌসুমে এখানে পানি পাওয়া যেত না। বিশেষ করে সুপেয় পানির তীব্র সংকট ছিল।  

বিশ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে। জলাধার থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি আরও  জানান  প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে পানির সংকট নিরসনের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়।
খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা  এমপি জানান, পানির সংকট নিরসনে প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পাহাড়ে সব মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে। দুর্গম এলাকায় পানি সংকট মোকাবিলায়  এমন প্রকল্প আরও নেওয়া হবে।

×