ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লাখো পুণ্যার্থীর সমাগমে রাজবন বিহার মুখরিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি

প্রকাশিত: ২২:০৬, ৮ জানুয়ারি ২০২৩

লাখো পুণ্যার্থীর সমাগমে রাজবন বিহার মুখরিত

রাজবন বিহারে পুণ্যার্থীদের প্রার্থনা

রাঙ্গামাটির বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পরম পূজনীয় সর্বজনপূজ্য মহাসাধক পরিনির্বাণপ্রাপ্ত ভদন্ত শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ১০৪ তম জন্মোৎসব পালিত হয়েছে।    
দেশের প্রধান বৌদ্ধ তীর্থস্থান রাঙ্গামাটির রাজবন বিহার, যুমচুগ বনাশ্রম বনভাবনা কেন্দ্র, গর্জনতলী পাড়া শাক্যমণি বৌদ্ধ বিহার নানিয়ারচর রত্নাকুর বন বিহারসহ বিভিন্ন শাখা বনবিহারে পালিত হয়েছে মহাসাধকের এ জন্মোৎস।  জন্মোৎসব ঘিরে দূর-দূরান্ত থেকে রাজবন বিহারে অগণিত পুণ্যার্থীর ঢল নামে। রবিবার ভক্তকুলের শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় সর্বজনপূজ্য বনভান্তের নিষ্প্রাণ দেহধাতু (মৃতদেহ)।
ওইদিন  সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যায় হাজার প্রদীপ প্রজ্বালন ও ফানুস বাতি উড়িয়ে শেষ হয় বনভান্তের ১০৪তম জন্মোৎসব। শনিবার রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে বনভান্তের দেহধাতুতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ভোর ৬টায় রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার দেশনালয়ে বনভান্তের ১০৪তম জন্মোৎসবের কেক কাটেন রাজবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। সেখানে রয়েছে তাঁর অবয়ব।
কেক কাটা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার সন্ধ্যা হতে হাজারো পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন। নানা রঙে তৈরি তোরণ ও বেলুনে সাজানো হয় গোটা রাজবন বিহার এলাকা। পরে বৌদ্ধ পতাকা উত্তোলন, পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধপূজা, ত্রিপিটক পূজা, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান,  প্রদীপ পূজা ধর্মীয় সভা, বিকেলে হাজার বাতি প্রজ্বালন ও ফানুস বাতি উড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় জন্মোৎসব পালন।  
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, সদস্য ইলিপন চাকমা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী ও সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান প্রমুখ। ধর্মীয় সভায় পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমীয় খীসা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ৬ নং বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা। বনভান্তের অমৃতময় বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে পুণ্যার্থীদের মাঝে ধর্মদেশনা দেন রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষুপ্রধান ভদন্ত শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ভদন্ত শ্রীমৎ জিনবোধি মহাস্থবিরসহ অন্যরা।

 

×