
ধর্ষণ ।
গোপালগঞ্জ সদরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিয়ের দাবিতে ওই ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে এক বিধবা নারী এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি এসব অভিযোগের কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ছয় মাস আগে হাবিবুর রহমান আমার বাড়িতে আসেন। সে সময় তিনি বলেন- কিশোর বয়স থেকে আমি তোমাকে ভালোবাসি, এখনও তোমাকে ভালোবাসি আর যত দিন বেঁচে থাকবো ততদিন তোমাকে ভালোবেসে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পর তিনি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন। সর্বশেষ গত ৩১ মে রাতে হাবিবুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর থেকে তাকে বিয়ের কথা বললে হাবিবুর আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি আমার মানসম্মান নষ্ট করেছেন। এলাকায় মুখ দেখানো দায় হয়ে পড়েছে। তাই আমি বিয়ের দাবি করছি। অন্যথায় আত্মহত্যা ছাড়া আমার উপায় থাকবে না।’
অভিযোগ অস্বীকার করে করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাকে হেয় করতে নির্বাচনে পরাজিত ব্যক্তিরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। ওই নারীর সঙ্গে আমার কোনো দিনই আর্থিক ও শারীরিক সম্পর্ক ছিল না। তবে নির্বাচনে ওই নারী আমার দল করেছেন, আমার জন্য ভোট চেয়ে আমার পক্ষে কাজ করেছেন।’
গত ১৪ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ভুক্তভোগী ওই নারী অভিযোগ করেন। পরে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।