কামার শিল্পীরা ব্যস্ত
রাতভর টুংটাং শব্দে যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যস্ত আমতলী ও তালতলীর কামার শিল্পীরা। ঈদ-উল-আজহা সামনে রেখে তারা দা, কুঠার, ছেনি, চাপাতি, কাটারী ও ছুড়ি তৈরি এবং বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। একটু ফুরসত নেই তাদের। আমতলী, তালতলী উপজেলা ও হাট বাজারের কামার পাড়ায় রাতভর টুংটং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
নারী কর্মকার ঝুমা রানী ও পুতুল রানী বলেন, যেভাবে বিক্রি হওয়ার কথা সেইভাবে বিক্রি নেই। দু’একজন ক্রেতা আসছে।
আমতলী পৌর শহরের গৌরাঙ্গ ও শ্যাম কর্মকারের দোকানের শ্রমিক পবিত্র কর্মকার, সঞ্জয় ও সঞ্জিব কর্মকার বলেন, ঈদ সামনে রেখে কাজ অনেক বেশি। দিন রাত শুধু কাজেই ব্যস্ত থাকতে হয়।
কামার শিল্পী গৌরাঙ্গ কর্মকার বলেন, পৈত্রিকভাবে এ পেশায় এসেছি। এ বৃদ্ধ বয়সে কাজ করে যাচ্ছি। আমার সন্তানরা এ পেশায় আসতে চাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, কোরবানি ঘনিয়ে এলেও বিক্রি ভাল না। আমতলীর শ্যাম কর্মকার বলেন, ‘বাব-দাদায় এই কাম হরছে এ্যাহোন মুই হরি। এই বুড়া বয়সে এ্যাহন আর পারছি না’। ব্যাচা হেইরহম না। মিঠুন কর্মকার বলেন, বাজারে ভাল লোহার দা কেজি প্রতিটি বিক্রি হয় ৫০০-৬০০ টাকা।
আমতলী কর্মকার সমিতির সভাপতি পরিতোষ কর্মকার বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটায় গ্রাম বাংলার সেই কামার শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এ শিল্পকে বাঁচাতে সরকারীভাবে উদ্যোগের প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ঈদ-উল-আজহা আসন্ন হলেও তেমন বিক্রি হচ্ছে না।
ভাঙ্গুড়ায় ব্যস্ত মসলা পেষার শ্রমিকরা
সংবাদদাতা, ভাঙ্গুড়া, পাবনা থেকে জানান, ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে মিল-কারখানার শ্রমিক ও মালিক পক্ষের ব্যস্ততা। পশু কোরবানিতে রন্ধন শালার রসালো প্রাকৃতিক স্বাদ পেতে সরিষা, ধনে, শুকনো মরিচ, হলুদ, জিরা, মসলা নিয়ে মিলে উপস্থিত হয়েছে মফঃস্বলের জনসাধারণ।
প্রত্যেকেরই যেন দম ফেলারও সময় নেই। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন মিল শ্রমিকরা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারাবছর কাজ করার পরও কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় শ্রমিকদের।