ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে টুংটাং শব্দে মুখর কামারপল্লী

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা

প্রকাশিত: ২১:৫১, ৫ জুলাই ২০২২

আমতলীতে টুংটাং শব্দে মুখর কামারপল্লী

কামার শিল্পীরা ব্যস্ত

রাতভর টুংটাং শব্দে যন্ত্রপাতি   তৈরিতে ব্যস্ত আমতলী ও তালতলীর কামার শিল্পীরাঈদ-উল-আজহা সামনে রেখে তারা দা, কুঠার, ছেনি, চাপাতি, কাটারী ও ছুড়ি  তৈরি এবং বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেনএকটু ফুরসত নেই তাদেরআমতলী, তালতলী উপজেলা ও হাট বাজারের কামার পাড়ায় রাতভর টুংটং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে

নারী কর্মকার ঝুমা রানী ও পুতুল রানী বলেন, যেভাবে বিক্রি হওয়ার কথা সেইভাবে বিক্রি নেইদুএকজন ক্রেতা আসছে

আমতলী পৌর শহরের গৌরাঙ্গ ও শ্যাম কর্মকারের দোকানের শ্রমিক পবিত্র কর্মকার, সঞ্জয় ও সঞ্জিব  কর্মকার  বলেন, ঈদ সামনে রেখে কাজ অনেক বেশিদিন রাত শুধু কাজেই ব্যস্ত থাকতে হয়

কামার শিল্পী গৌরাঙ্গ কর্মকার বলেন, পৈত্রিকভাবে এ পেশায় এসেছিএ বৃদ্ধ বয়সে কাজ করে যাচ্ছিআমার সন্তানরা এ পেশায় আসতে চাচ্ছে নাতিনি আরও বলেন, কোরবানি ঘনিয়ে এলেও বিক্রি ভাল নাআমতলীর শ্যাম কর্মকার বলেন, ‘বাব-দাদায় এই কাম হরছে এ্যাহোন মুই হরিএই বুড়া বয়সে এ্যাহন আর পারছি নাব্যাচা হেইরহম নামিঠুন কর্মকার বলেন, বাজারে ভাল লোহার দা কেজি প্রতিটি বিক্রি হয় ৫০০-৬০০ টাকা

আমতলী কর্মকার সমিতির সভাপতি পরিতোষ কর্মকার বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটায় গ্রাম বাংলার সেই কামার শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছেএ শিল্পকে বাঁচাতে সরকারীভাবে উদ্যোগের প্রয়োজনতিনি আরও বলেন, ঈদ-উল-আজহা আসন্ন হলেও তেমন বিক্রি হচ্ছে না

 

ভাঙ্গুড়ায় ব্যস্ত মসলা পেষার শ্রমিকরা

সংবাদদাতা, ভাঙ্গুড়া, পাবনা থেকে জানান, ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে মিল-কারখানার শ্রমিক ও মালিক পক্ষের ব্যস্ততাপশু  কোরবানিতে রন্ধন শালার রসালো প্রাকৃতিক স্বাদ পেতে সরিষা, ধনে, শুকনো মরিচ, হলুদ, জিরা, মসলা নিয়ে মিলে উপস্থিত হয়েছে মফঃস্বলের জনসাধারণ। 

প্রত্যেকেরই যেন দম ফেলারও সময় নেইনাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন মিল শ্রমিকরাকাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারাসারাবছর  কাজ করার পরও কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় শ্রমিকদের

×