ম্যাপে পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে খন্দকার খায়ের উল ইসলামের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মানহানী মামলা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এম. এ. আশ্রাব খানের সন্তান জান্নাতুন নাহার জুইঁ।
মামলার এজারে উল্লেখ করা হয়, খন্দকার খায়ের চলতি বছরের ২০ এপ্রিল দৈনিক মুক্ত খবর নামক একটি পত্রিকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এম. এ. আশ্রাব খান সম্পর্কে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে। এ ঘটনায় ঐ পত্রিকায় প্রতিবাদ পাঠালে কর্তৃপক্ষ প্রতিবাদ প্রকাশও করেন। কিন্তু এর পরেও খন্দকার খায়ের নিবৃত না হয়ে মরহুম এম. এ. আশ্রাব খানকে জীবিত উল্লেখ করে ভুয়া আবেবদন দেয়। এতে তার মান সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করে।
এর পরে সব শেষে গত ২৮ জুন বসত ঘরের সামনের রাস্তায় এসে খন্দকার খায়ের হুমকি দিয়ে বলে, তোর বাবা কোন মুক্তিযোদ্ধা না। তোর বাবার বিরুদ্ধে অনেক টাকা পয়সা খরচ করে মুক্ত খবর পত্রিকায় সে যে মুক্তিযোদ্ধা না তা লিখিয়া ছাপাইয়া সমগ্র দেশে ছড়াইয়া দিছি। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়েও অভিযোগ দিছি সেটা বাতিল করছে তো কি হইছে আমি সারা দেশে বলমু যে তোর বাপ একটা রাজাকার। আমি পোষ্টার ছাপাইতে দিছি বিভিন্ন জায়গায় পোষ্টার লাগাইয়া দিবো। তোর বাপের মান-সম্মান ধুলায় মিশাইয়া দিবো। তুই পারলে কিছু করিস। আমার হাত অনেক লম্বা কিছুই করতে পারবি না।" বাদীনি মান-সম্মানের ভয়ে বিবাদীর সামনে থেকে দৌড়ে বাড়ির ভিতরে চলে যায়। বাদীনি তাহার বাবার বিরুদ্ধে উক্ত মন্তব্য শুনে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।
অত্র মামলার বিবাদী পত্রিকায় মিথ্যা অপপ্রচার ও মিথ্যা অভিযোগ করে বাদীনির মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতার অপূরনীয় ক্ষতি সাধন করে প্রায় ৫,০০,০০,০০০/- (পাঁচ কোটি) টাকার মান-সম্মান নষ্ট করেছে। এতে মরহুম মুক্তিযোদ্ধা বাবার সন্তান সংক্ষুদ্ধ হয়ে আদালতে এ মালা দায়ের করেন।