ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মোংলা বন্দরের গাড়ি আমদানিতে রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ১৩:৫৮, ২৯ জুন ২০২২; আপডেট: ১৪:০৯, ২৯ জুন ২০২২

মোংলা বন্দরের গাড়ি আমদানিতে রেকর্ড

মোংলা বন্দরের গাড়ি

মোংলা বন্দর গাড়ি আমদানিতে রেকর্ড করেছে। যা চট্টগ্রাম বন্দরকেও ছাড়িয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) এ বন্দরে গাড়ি আমদানি হয়েছে ২০ হাজার ৮০৮টি। যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথম ২০০৯ সালে আট হাজার ৯০৯টি গাড়ি আমদানি হয়। গাড়ি আমদানি চালু হওয়ার ১৪ বছর পর এই প্রথম চট্রগ্রাম বন্দরকে পিছনে ফেলে সর্বোচ্চ গাড়ি আমদানির রেকর্ড গড়ল মোংলা বন্দর। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল বলেন, চলতি অর্থবছরে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি হয়েছে দেশের মোট আমদানির ৬০ শতাংশ। আর চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ৪০ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের দুই বন্দরে গাড়ি আমদানি হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৮৩টি। এর মধ্যে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ২০ হাজার ৮০৮ আর চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি হয়েছে ১৩ হাজার ৯১৩টি গাড়ি। গত অর্থবছরের তুলনায় এটা সর্বোচ্চ রেকর্ড।’ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানি ক্রমশ: বাড়ছে। আমদানিকারকদের বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা, স্বল্প সময়ের মধ্যে এই বন্দর থেকে গাড়ি খালাস, আমদানীকৃত গাড়ি রাখার জন্য উন্নতমানের শেড ও ইয়ার্ড নির্মাণ এবং আমদানীকৃত গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সার্বক্ষণিক টহল ও সিসি ক্যামেরায় মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকার ফলে আমদানীকারকরা আগ্রহী হচ্ছেন। সময় ও অর্থ সাশ্রয় হওয়ার কারণে আমদানিকারকরা এই বন্দরকে বেছে নিয়েছেন। এখন পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আরো সুযোগ তৈরি হলো। ব্যবসায়ীরা গাড়ি আমদানি করে দ্রুতই এখান থেকে সড়কপথে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় গাড়ি নিয়ে ঢাকায় পৌঁছতে পারছেন। এতে তারা বেশী লাভবান হচ্ছেন। সড়ক ব্যবস্থায় উন্নতি হওয়ায় গাড়ি আমদানি আরও বৃদ্ধিসহ এ বন্দরে ব্যাপক কর্মযজ্ঞের সৃষ্টি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, `পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে আমাদের ব্যবসায়ীদের আমদানি করা শতাধিক গাড়ি মোংলা বন্দর দিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছে গেছে। ` সেতু চালু হওয়ায় এই বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানির আগ্রহ বেড়েছে বলেও জানান তিনি। জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার। আর ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব ১৭০ কিলোমিটার। যে কারণে একটি গাড়ি বন্দর থেকে খালাসের পর কম সময়ে এবং কম খরচে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছতে সক্ষম হবে বলে মোংলা বন্দর ব্যবহার করে গাড়ি আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
×