
সংবাদদাতা, মেহেরপুর ॥ মেহেরপুরের গাংনীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ষোলটাকা ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড সদস্য কামাল হোসেনকে (৩৮) রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এঘটনায় কামাল হোসেনের ভাই কফিল উদ্দীন (৪২) মারাত্বকভাবে আহত হয়েছেন। আহত কফিল উদ্দীনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল হোসেন ষোলটাকা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ও ঐ গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার জোয়ার্দ্দারের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দেড় কাঠা অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে কামাল হোসেনের বড় ভাই আব্দুল হান্নানের জামাতা একই গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের। সকালে জমি নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। পরে গাংনী থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের উপর হামলা চালিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় তার ভাই কফিল উদ্দীন ঠেকাতে গেলে তার হাতেও রামদা দিয়ে কোঁপ মারে মারাত্মকভঅবে আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। কামাল হোসেন ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা। গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সজিব উদ্দীন স্বাধীন জানান, কামাল হোসেনের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
গাংনী থানার এস.আই সুবাস চন্দ্র দাম বলেন, মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে। হামলাকারীদের আটকে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।