ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বেসরকারী পর্যায়ে দেশে বিপুল সংখ্যক দক্ষ কর্মী তৈরি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৩ মে ২০১৭

বেসরকারী পর্যায়ে দেশে  বিপুল সংখ্যক দক্ষ কর্মী তৈরি হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক দক্ষ কর্মী তৈরি হচ্ছে। সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এসব কর্মী তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশ থেকে দক্ষ কর্মীরাই ভাল বেতনে বিদেশে চাকরি নিয়ে যাবে। অদক্ষ কর্মীরা বিদেশে গিয়ে শুরুতে খুব কম বেতনে চাকরি পায়। আর দক্ষ কর্মীরা শুরুতেই অনেক বেশি টাকা বেতন পান। সরকার দেশের মানুষকে মানব সম্পদে রূপ দিতে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এই সম্পদই দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে ‘ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ (দিপ্তী) আয়োজিত কৃতী শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরণ ও ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব জাবেদ আহমেদ এ কথা বলেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগামের (এসইআইপি) নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক আবদুর রউফ তালুকদার। বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, এসইআইপি পিকেএসপি উপ-মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক রথীন্দ্র নাথ দাস ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন দিপ্তীর উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন। উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান ছাড়াও দুই শিক্ষার্থীকে চাকরির নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। ফিকান আইটি সলিউশনের পক্ষে রোকনুজ্জামান ও সাইফুল নামের দুই শিক্ষার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদান করেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুল হাসান। এছাড়া চারটি প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে ইউথ ফায়ার আইটি, বুস্ট আইটি সলিউশন, অপরচুনিটি আইটি ও টাচটেক আইটি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাবেদ আহমেদ বলেন, শ্রমবাজার সম্প্রসারণে দেশকে ইতিবাচক ব্রান্ডিং করতে হবে। বিভিন্ন দেশের চাহিদা অনুযায়ী আমরা কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও বিদেশে কর্মসংস্থানসহ প্রেরণ করতে পারছি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীর কোন বিকল্প নেই। সরকারের ৭০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও কারিগরি ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ অতিথি আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের প্রায় ৭০ লাখ মানুষ কাজ করছেন। তারা বছরে প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠান। আবার বাংলাদেশে প্রায় ২ লাখ বিদেশী কাজ করেন। তারা বাংলাদেশ থেকে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যান। বাংলাদেশ যদি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারে তাহলে বিদেশে থেকে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়বে এবং বাংলাদেশ থেকে বিদেশীরা যে অর্থ নিয়ে যাচ্ছেন তাও রোধ করা সম্ভব হবে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান বলেন, শুরুর দিকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অনেক অদক্ষ ও আধাদক্ষ শ্রমিক যেত, একথা সত্য।
×