ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বনাঞ্চল উজাড় করে মাছের ঘের

খাইরুল ইসলাম আকাশ,তালতলী,বরগুনা

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ৯ মে ২০২৫

বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বনাঞ্চল উজাড় করে মাছের ঘের

ছবি : জনকন্ঠ

বরগুনার তালতলীতে বনের গাছ কেটে জমি দখল করে মাছের ঘের করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে,অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দখলদারদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গাছ কেটে জমি দখল করে মাছের ঘের করা হচ্ছে।

 

 

জানা যায়, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলাপাড়া গ্রাম পর্যন্ত আন্ধারমানিক নদীর কূল ঘেঁষে প্রায় ২০ কিলোমিটারের পুরোটা জুড়েই ছইলা ও কেওড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে বনবিভাগ। শ্বাসমূলীয় এসব গাছপালা বড় হয়ে ঘন জঙ্গল সৃষ্টি করেছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য পরিণত হয়েছে নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষার 'সবুজ দেয়ালে'। তবে সেই নদীতীরবর্তী বনের ছইলা,কেওড়া ও নানা প্রজাতির কয়েক শতাধিক চারা গাছ কেটে খননযন্ত্র দিয়ে প্রায় ২ (দুই) একর জমি খনন করে মাছের ঘের করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী বাবুল মৃধা ও জাকির মৃধা। এসকল বে-আইনী কার্যক্রম বন্ধে বন বিভাগের তৎপরতা চোখে পড়ছে না। বন বিভাগের লোকজনের যোগসাজশেই এ কাজগুলো চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।

 

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খননযন্ত্র দিয়ে প্রায় ২ একর বনাঞ্চল উজাড় করে মাছের ঘের করা হয়েছে।এবিষয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দখলদারদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গাছ কেটে জমি দখল করে মাছের ঘের করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে বিচারের দাবি স্থানীয়দের।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবুল মৃধা, জাকির মৃধা বলেন, এটা আমাদের বাড়ির সম্মুখভাগ (মুখসা) এই জমি আমরা বন্দবস্ত নিয়েছি। এখানে চিংড়ি মাছ চাষ করার জন্য ঘের খনন করতেছি। এখানে বনবিভাগের লোকজন আসছিলো তারা দেখে গেছেন।

 

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা'র) তালতলী উপজেলা সমন্বয়ক ও পরিবেশ কর্মী আরিফ রহমান বলেন, 'এভাবেই প্রতিনিয়ত আমাদের উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী ধ্বংস ও দখল  করছে একশ্রেণীর ভূমিদস্যু। এসকল ভূমিদস্যুদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার করা উচিৎ। তাছাড়া উপকূলীয় বনভূমি রক্ষায় প্রশাসনের সচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।'

বন বিভাগের তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, 'বিষয়টি অবগত হয়ে দখলদারদের নোটিশ করা হয়েছে। দখল করা বনের জমি উদ্ধার ও বন উজাড়কারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে বন বিভাগের কোনো লোক জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, 'বন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

আঁখি

×