
উত্তাল মেঘনা নদী। ছবি: জনকণ্ঠ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দ্বীপ জেলা ভোলায় রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়া বইছে। বিভিন্ন এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হয়ে উঠছে। মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছে ।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন ,২৪ ঘন্টায় সকাল ৯ টা পর্যন্ত ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এছাড়াও ৮ নটিক্যাল বেগে দমকা হাওয়া বইছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আশংকায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোবাকেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১২টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে।
পাশাপাশি ১ হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত রাখার জন্য অবহিত করা হয়েছে। সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। ১৩ হাজার ৮৬০জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম।
এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসকের তহবিলে ৩৪১ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২০ লক্ষ টাকা মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের এক লক্ষ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সতর্কবার্তা পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
এসআর